ভাঁড়দত্তের চরিত্র সংক্ষেপে চিত্রিত কর

ভাঁড়দত্তের চরিত্র সংক্ষেপে চিত্রিত কর।

ভাঁড়দত্তের চরিত্র সংক্ষেপে চিত্রিত কর।
ভাঁড়দত্তের চরিত্র সংক্ষেপে চিত্রিত কর।

উত্তর: শুধু মুকুন্দরামের নয়, বরং মধ্যেযুগের শ্রেষ্ঠ চরিত্র ভাঁড়দত্ত। আর্থ-সামাজিক মর্যাদাহান দয়সারমাত্র এক বিপর্যন্ত ভাড় চরিত্র ভাঁড়। সে নিঃস্ব ও নীচ, শঠ ও ধূর্ত। আত্ম অভিমান ও দয়ের হুংকারে তার বেঁচে থাকা। 

অকর্মণ্য ভাঁড়র বাড়িতে লক্ষ্মীর পা পড়ে না, তাই ঠক-ঠকানি, গুল চালই তার পেশা। নিজের বংশমর্যাদা সম্পর্কে মিথ্যে বলেছে, কালকেতু ক্ষমতা না দিলেও সে হাটুরেদের ওপর খবরদারি করে অত্যাচার করেছে। 

কালকেতুর অপমানে সে কলিঙ্গরাজের কাছে গিয়ে নানা কথা বলে তাকে কালকেতুর বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলেছে। ফুল্লরার সাথে রসালাপ করে কালকেতুর আত্মগোপনের স্থান জেনে নেয়। কালকেতু পুনরায় রাজা হলে কুণ্ডীরাশ্রু ফেলেছে। 

শেষ পর্যন্ত তার অপরাধের শান্তিস্বরূপ মাথা মুড়ে মুখে চুন-কালি মেখে গ্রাম ঘোরানো হয়েছে- তবুও ভাঁড়র অহংকার যায় নি। সে বলেছে- গঙ্গা সাগরেতে গিয়ে মাথা মুড়ে এসেছে।

শিল্পী ভাঁড়কে আপাদমস্তক মিথ্যেবাদী, ঠকু, চতুর, লোভী, স্বার্থপর, জোচ্চোর, সংকীর্ণ মানবিক গুণবর্জিত কপট অভিনেতা, কৌশলী আত্মমর্যাদাহীন, নীচ, হীন চরিত্রের অধিকারী করে গড়ে তুলেছেন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ