রাবণের পরাজয়ের পেছনে বিভীষণের ভূমিকা কী ছিল

রাবণের পরাজয়ের পেছনে বিভীষণের ভূমিকা কী ছিল?
রাবণের পরাজয়ের পেছনে বিভীষণের ভূমিকা কী ছিল
রাবণের পরাজয়ের পেছনে বিভীষণের ভূমিকা কী ছিল?

উত্তর:ঘরের শত্রু বিভীষণ' বলে পরিচিত বিভীষণ লঙ্কারাজ রাবণের ভাই। রক্ষবংশীয় হয়েও সে রামের পক্ষ নেয়। কারণ, সে ন্যায়ের পক্ষে, ধর্মের পক্ষে। তার মতে লঙ্কারাজ রাবণ সীতাকে হরণ করে মহা অধর্ম করেছে। রাঘবেরা অযোধ্যা থেকে লঙ্কা বিজয় করতে আসে নি, তারা এসেছে সীতাকে উদ্ধার করতে। বিভীষণ তাই তাদের মিত্র।

তার মতে, ‘যথা ধর্ম জয় তথা'। তার মতে, 'নিজ পাপে মজে হায় রক্ষঃকূলপতি। সে জানে যে, মেঘনাদ লক্ষ্মণের অস্ত্রাঘাতে মারা যাবে, তবুও লক্ষ্মণকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেয়।

নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে নিরস্ত্র মেঘনাদের কোষার আঘাতে লক্ষ্মণে ভূতলে অচেতন, মেঘনাদ অস্ত্রাগারে অস্ত্র আনতে যাবে- বিভীষণ দ্বার রোধ করে, বোঝা যায় রাক্ষসপুরীর পথ দেখিয়ে লক্ষ্মণকে বিভীষণ সাথে করে নিয়ে এসেছে। লক্ষ্মণ বিভীষণকে মিঠেকড়া অনেক কথা শুনিয়েছে, বংশের মুখ রক্ষা করার দোহাই দিয়েছে, কিন্তু না- বিভীষণ রামের মিত্র কিন্তু লক্ষ্মণের অস্ত্রাঘাতে মেঘনাদ মারা গেলে বিভীষণ সম্বিত ফিরে পায়, সে মেঘনাদকে অস্ত্রাগারে নিয়ে অস্ত্র এনে রক্ষকুল মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানায় ।

কিন্তু লক্ষ্মণ যখন বলেছে যে, এটা বিধিরই বিধান, ফলে বিভীষণ শোকমুক্ত হয়ে রামের কাছে ফিরে যায়। বিভীষণ চরিত্রটি ভারতীয় উপমহাদেশে ঘরের শত্রু বলে কুখ্যাত হয়ে রইলো।বিভীষণের কারণেই রাবণ তার প্রধান বীর মেঘনাদকে হারায় এবং তাতেই রাবণের পরাজয় নেমে আসে। রাবণের এ পরাজয়ে প্রত্যক্ষভাবে রাম-লক্ষ্মণকে সহযোগিতা করেছে বিভীষণ

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ