পঞ্চবটী বনে মোরা গোদাবরী তটে ছিনু সুখে ব্যাখ্যা কর
পঞ্চবটী বনে মোরা গোদাবরী তটে ছিনু সুখে । ব্যাখ্যা কর।
![]() |
পঞ্চবটী বনে মোরা গোদাবরী তটে ছিনু সুখে । ব্যাখ্যা কর। |
উত্তর মেঘনাদবধ কাব্যে পঞ্চবটী বন থেকে সীতাকে হরণ করে রাবণ অশোকবনে রেখেছিল। অভিষেকের আনন্দে সবাই মশগুল।
এই অবকাশে বিভীষণ-স্ত্রী সরমা সীতার কাছে গিয়ে পঞ্চবটীবনের কাহিনী শুনতে চাইলে সীতা বলেছিল যে, শ্বশুরের নির্দেশে রাম বনবাসী হলেন, সীতা স্বামীর সাথে এসেছে, সাথে দেবর লক্ষ্মণ।
কপোত-কপোতী যেমন সুখের নীড় বাঁধে গাছের ডালে, তেমনি স্বামী ও দেবরকে নিয়ে সীতা পঞ্চবটী বনে সুখের ঘর বেঁধেছিল। সমগ্র বনই তাদের খাবারের উৎস।
বন থেকে বিবিধ ফলমূল সংগ্রহ করে আনত লক্ষ্মণ। বনের ছোট কুটিরের চারদিকে বিচিত্র ফুলের সমারোহ। কোকিলসহ বিবিধ পাখির কূজনে তাদের ঘুম ভাঙত, যা জগতের কোন রাণীর ভাগ্যে জোটে না। তাছাড়া ময়ূর ময়ূরীর মত শ্রেষ্ঠ নর্তক-নর্তকীর নাচ দেখত।
নানা ধরনের পশুপাখি তার ভবনে অতিথি হয়ে আসত । সবাইকে সীতা সেবা করত। বনের ফুল তুলে খোপা বাঁধত, সরসীরূপ দর্পণে নিজের ছবি দেখত।
নব লতিকায় ফুটে থাকা ফুলের সাথে ভ্রমরার বিয়ে দিত, ভ্রমরকে সীতা নাতনী জামাই বলে আদর করত। ময়ূরীর সাথে সাথে সীতা নৃত্য করত, কোকিলের সাথে সেও গেয়ে উঠত।
কখনো বা রামের সাথে বনে ঘুরে ঘুরে পাহাড়ে উঠত। রাম পাহাড়ে বসত, সীতা তার পায়ের নিচে বসত। স্বামী তাকে খুবই আদর করত। এভাবে পঞ্চবটী বনে সীতার কুটিরে আনন্দের বন্যা বয়ে যেত।