মুকুন্দরামকে দুঃখবাদী কবি বলা হয় কেন

মুকুন্দরামকে দুঃখবাদী কবি বলা হয় কেন

মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কি দুঃখবাদী কবি?
মুকুন্দরামকে দুঃখবাদী কবি বলা হয় কেন

উত্তর: মুকুন্দরাম চক্রবর্তী তাঁর মঙ্গলকাব্যে মানুষের দুঃখ বর্ণনায় বিস্ময়কর পারঙ্গমতার পরিচয় দিয়েছেন। এজন্য অনেকে তাকে দুঃখবাদী কবি বলে ভুল করে থাকেন। 

তবে এটা ঠিক যে, তার চণ্ডীমঙ্গল কাব্যে এমন কতকগুলো ঘটনার নিখুঁত বর্ণনা আছে যাতে দুঃখ ও বেদনার প্রলেপ অত্যন্ত সুস্পষ্ট। গ্রন্থ উৎপত্তির কারণ, ফুল্লরার বারমাসী, বনের পশুদের দুঃখ প্রভৃতি বর্ণনায় কবির লেখনী হতে বেদনার বাণী যেন স্বতঃস্ফূর্ত উৎসারিত হয়েছে। 

দুঃখ বর্ণনার এই পারঙ্গমতা ও আধিক্যের কারণে আপাতত তাকে দুঃখবাদী কবি বলে মনে হলেও বস্তুত তিনি দুঃখবাদী কবি নন। 

কারণ যে কবি জীবনের সর্বৈর বিষয়ে দুঃখ ছাড়া কিছুই দেখেন না, যার জীবন দুঃখময়, যার কাব্যে কেবল দুঃখের চিত্র কিন্তু দুঃখ উত্তরণের কোন উপায় চিত্রিত হয় না, বা দুঃখের বর্ণনার পেছনে অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকে না, তাকেই দুঃখবাদী কবি বলে। 

মুকুন্দরাম চক্রবর্তী দুঃখের চিত্র অত্যন্ত দক্ষতার সাথে অংকন করলেও তিনি চিন্তা-ভাবনায় দুঃখবাদী নন, বরং জীবনবাদী কবি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ