লায়লীর রূপ বর্ণনা কর
লায়লীর রূপ বর্ণনা কর।
![]() |
উত্তর : দৌলত উজির বাহরাম খাঁ'র ‘লায়লী মজনু' কাব্য নানা গুণে অনন্য। কবি এ কাব্যের নায়িকা লায়লীকে বিচিত্ররূপে সজ্জিত করেছেন। আরবের মালিকের রত্নকন্যা লায়লী-রূপে জগৎ ধন্যা। উজ্জ্বল বর্ণের লায়লী চাচর চামর কেশ, সে চুলে বেণি করে মৃগবত যখন চলে তখন মনে হয় পিঠে নাগিনী দুলছে। তার মুখে সর্বদা চাঁদের স্নিগ্ধ হাসি লেগে থাকে । ভুরুযুগল যেন অর্ধচন্দ্র অর্ধপদ্ম।
তার ভাল অপূর্ব ও কৌতুকাবহ। ভুরুর কাছে যে তিল— তা তার রূপকে অনবদ্য করে তোলে। তার চোখের চাহুনিতে হরের ধ্যান ভঙ্গ হয়। অধর অমৃত তুল্য- মনে হয় পদ্ম ফুটে আছে। তার মনোহর কণ্ঠ দেখে মনের দুঃখে কম্বু জলে প্রবেশ করে। গলে সাতনরি হার। কুচযুগ নবীন শ্রীফলের মতো, মনে হয় যেন নারাঙ্গ যুগল। নাভিপদ্ম যারপরনাই উজ্জ্বল, লোমলতা অধিক সুন্দর। সুললিত রাহুযুগল। তার অষ্টাঙ্গ অপরূপ, তাতে বিবিধ ধাতব আভরণ শোভা পাওয়ায় অনবদ্য হয়ে উঠেছে।
ইন্দ্রানী, রোহিনী ‘অহল্লা' দ্রৌপদী— কেউই রূপে তার সমকক্ষ নয়। নূপুর পায়ে রাজহংসের গতিতে লায়লী যখন হেঁটে যায়— তখন যে সৌন্দর্য শোভিত হয় সত্যি তা অনির্বচনীয় উত্তর : দৌলত উজির বাহরাম খাঁ'র ‘লায়লী মজনু' কাব্য নানা গুণে অনন্য। কবি এ কাব্যের নায়িকা লায়লীকে বিচিত্ররূপে সজ্জিত করেছেন। আরবের মালিকের রত্নকন্যা লায়লী-রূপে জগৎ ধন্যা। উজ্জ্বল বর্ণের লায়লী চাচর চামর কেশ, সে চুলে বেণি করে মৃগবত যখন চলে তখন মনে হয় পিঠে নাগিনী দুলছে। তার মুখে সর্বদা চাঁদের স্নিগ্ধ হাসি লেগে থাকে ।
ভুরুযুগল যেন অর্ধচন্দ্র অর্ধপদ্ম। তার ভাল অপূর্ব ও কৌতুকাবহ। ভুরুর কাছে যে তিল— তা তার রূপকে অনবদ্য করে তোলে। তার চোখের চাহুনিতে হরের ধ্যান ভঙ্গ হয়। অধর অমৃত তুল্য- মনে হয় পদ্ম ফুটে আছে। তার মনোহর কণ্ঠ দেখে মনের দুঃখে কম্বু জলে প্রবেশ করে। গলে সাতনরি হার। কুচযুগ নবীন শ্রীফলের মতো, মনে হয় যেন নারাঙ্গ যুগল। নাভিপদ্ম যারপরনাই উজ্জ্বল, লোমলতা অধিক সুন্দর। সুললিত রাহুযুগল। তার অষ্টাঙ্গ অপরূপ, তাতে বিবিধ ধাতব আভরণ শোভা পাওয়ায় অনবদ্য হয়ে উঠেছে। ইন্দ্রানী, রোহিনী ‘অহল্লা' দ্রৌপদী— কেউই রূপে তার সমকক্ষ নয়। নূপুর পায়ে রাজহংসের গতিতে লায়লী যখন হেঁটে যায়— তখন যে সৌন্দর্য শোভিত হয় সত্যি তা অনির্বচনীয় ।