কৃষ্ণকুমারী' নাটক অবলম্বনে পদ্মিনীর পরিচয় দাও

কৃষ্ণকুমারী' নাটক অবলম্বনে পদ্মিনীর পরিচয় দাও ।
কৃষ্ণকুমারী' নাটক অবলম্বনে পদ্মিনীর পরিচয় দাও ।

কৃষ্ণকুমারী' নাটক অবলম্বনে পদ্মিনীর পরিচয় দাও ।


উত্তর: মধুসূদনের কৃষ্ণকুমারী নাটকে পদ্মিনী প্রত্যক্ষ চরিত্র নয়। তার কথা প্রত্যক্ষচরিত্রদের মুখে শোনা যায় এবং কৃষ্ণার স্বপ্নদর্শন থেকে জানা যায়। সুন্দরী কৃষ্ণার বিয়েনিয়ে রানা ভিমসিংহ যখন গভীর সঙ্কটে তখন কৃষ্ণার মা অহল্যা দেবী কৃষ্ণার বাবাকে পদ্মিনী দেবীর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। সেখান থেকে জানা যায় পদ্মিনী রানা ভিমসিংহের পূর্বপুরুষ ভীমসেনের প্রণয়িনী ।

কৃষ্ণকুমারী একবার স্বপ্নে, একবার প্রত্যক্ষত পদ্মিনীর মূর্তি আকাশপথে দেখতে পেয়েছে এবং তার আদেশ শুনেছে। "যেন আমি কোনো সুবর্ণমন্দিরে একখানি কমল আসনে বসে রয়েছি, এমন সময় একটি পরম সুন্দরী স্ত্রী একটি পদ্ম হাতে করে আমার সম্মুখে এসে দাঁড়ালেন। দাঁড়িয়ে বললেন, বাছা, তুমি আমাকে প্রণাম কর। আমি সম্পর্কে তোমার জননী হই।

”... কৃষ্ণা তাকে প্রণাম করার পর তিনি বললেন- “দেখ বাছা, যে যুবতী এই বিপুল কুলের মান আপন প্রাণ দিয়া রাখে, সুরপুরে তার আদরের সীমা নাই। আমি এই কুলেরই বধূ ছিলাম। আমার নাম পদ্মিনী। তুমি যদি আমার মতো কর্ম কর, তাহলে আমারই মতন যশস্বিনী হবে।” মূলত মেবারকে বাঁচাবার জন্য কৃষ্ণার আত্মহননে উদ্বুদ্ধ করতে পদ্মিনী চরিত্রের অবতারণা করা হয়েছে।

তৃতীয়াঙ্কের দ্বিতীয় গর্ভাঙ্কে— উদ্যানে ভ্রমণরত কৃষ্ণা সহসা পদ্মগন্ধের সৌরভে চমকিত হয়েছে। কৃষ্ণা শিহরিত হয়। পরে শঙ্কিত হয় এবং জ্ঞান হারায়

তখন আকাশে কোমল বাদ্য বাজে। কৃষ্ণা ছাড়া এগুলো কেউই টের পায় না। মূলত পদ্মিনী কৃষ্ণার বংশেরই সুন্দরী বধূ, যার আত্মহননের মধ্যে দিয়ে রাষ্ট্র জাতি রক্ষা পেয়েছিল। কৃষ্ণাকে তিনি অনুপ্রাণিত করেছেন যাতে, কৃষ্ণার জীবনের বিনিময়ে মেবার রক্ষা পায়।

আত্মহনন করেছে। সেদিক বিবেচনার অপ্রত্যক্ষ চরিত্র হলেও পদ্মিনী চরিত্রটি কৃষ্ণকুমারী নাটকে বিশেষ গুরুত্ববহ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ