কৃষ্ণের বাঁশি চুরি কাহিনী সংক্ষেপে লেখ

কৃষ্ণের বাঁশি চুরি কাহিনী সংক্ষেপে লেখ

কৃষ্ণের বাঁশি চুরির কাহিনি সংক্ষেপে লেখ
কৃষ্ণের বাঁশি চুরির কাহিনি সংক্ষেপে লেখ

উত্তর : শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে কৃষ্ণ প্রেম রাধা চরিত্রের অনন্যতা দান করেছে। বড়ায়ির মুখে রাধার রূপের বর্ণনা শুনে কৃষ্ণ পাগল প্রায়। সে রাধার দেহ সম্ভোগে উন্মাদ। কিন্তু রাধা কৃষ্ণকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। রাখাল বলে গালি দেয়। উপহার লাথি দিয়ে ফেলে দেয়। 

শেষ পর্যন্ত কৃষ্ণ রাধাকে বাণ মারে। এমনি করে নানা উপায়ে দীর্ঘ সাধনার পর রাধা কৃষ্ণের কাছে ধরা দেয়। রাধার দেহ ভোগের পর কৃষ্ণ রাধার কাছ থেকে দূরে সরতে আরম্ভ করে। এমতাবস্থায় কৃষ্ণের সাহচর্য লাভের জন্য রাধা চিত্ত ব্যাকুল হয়। কৃষ্ণ মিলন ছাড়া যেন রাধার এক মুহূর্ত কাটে না। 

জল বিনা মাছ যেমন বাঁচে না তেমনি কৃষ্ণ ছাড়া রাধার জীবন যেন অসহায়। একদিকে কৃষ্ণ মিলন, বিরহ বেদনা অন্যদিকে কৃষ্ণের বাঁশির সুর রাধাকে উন্মনা করে তোলে। বাঁশির সুরে রাধাকে উন্মনা করে কৃষ্ণ পালিয়ে বেড়ায়। 

এহেন পরিস্থিতিতে কৃষ্ণ মাথার কাছে বাঁশি, রেখে ঘুমিয়ে পড়লে রাধা কৃষ্ণের মোহন বাঁশিটি চুরি করে কলসির ভিতরে লুকিয়ে রাখে। এদিকে কৃষ্ণ ঘুম থেকে উঠে বাঁশি হারিয়ে উদভ্রান্ত হয়। সে স্বর্গ মর্ত্য-পাতাল খোঁজ করেও বাঁশির সন্ধান না পেয়ে রাধাকে দায়ী করে। অর্থাৎ কৃষ্ণ বুঝতে পারে রাধাই তার বাঁশি চুরি করেছে। এভাবে কৃষ্ণকে কাছে পাবার আশায় রাধা কৃষ্ণের বাঁশি চুরি করে।

সুতরাং আলোচনার পরিশেষে আমরা একথাই বলতে পারি যে, বসন্তের আগমনে রাধার দেহ চিত্তে কৃষ্ণের মিলন বাসনা এবং বাঁশির মোহিনী শক্তি রাধার মনে যে মদন বাণ বিদ্ধ হয়েছিল তা থেকেই পরিত্রাণ পেতে রাধা কৃষ্ণের বাঁশিটি চুরি করে 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ