কালকেতু কীভাবে বন্দী হয়
কালকেতু কীভাবে বন্দী হয়?
কালকেতু কীভাবে বন্দী হয়?
উত্তর: ভাঁড়র কাছে কলিঙ্গরাজ গুজরাট নগর পত্তনের কথা শুনে সেখানে মন্ত্রীকে পাঠিয়ে দেয়। ভাড়র কথা সত্য প্রমাণিত হয়। শুরু হয় কলিঙ্গ সেনার আক্রমণ। যুদ্ধে কালকেতু পেরে না উঠে ফুল্লরার পরামর্শ মতে ধানের ঘরে গিয়ে লুকিয়ে থাকে।
কলিঙ্গের মন্ত্রী কোনভাবেই কালকেতুকে খুঁজে পায় না। ভাঁড়দত্ত ফুল্লরার কাছে গিয়ে হাজির হয়। ফুল্লরার সাথে সে কপট আচরণ করে। সে জানায় যে, কালকেতু কলিঙ্গরাজকে না বলে বনল কাটার কারণে রাজার রাগ হয়েছিল, কিন্তু কালকেতুর বীরত্ব দেখে কলিঙ্গরাজ খুব খুশি হয়েছে।
তাই রাজার আর কালকেতুর উপর কোন ক্ষোভ নেই। কলিঙ্গরাজ কালকেতুকে সেনাপতি করে তাকে গুজরাটে জায়গীর দিতে চায়। তাই যুদ্ধরা যেন কালকেতুকে ডেকে দেয়। কালকেতু যদিও ভাড়কে অপমান করেছিল, কিন্তু ভাঁড় সে কথা যেন ভুলে গেছে।
ভাঁড়র মধুর বাণী শুনে ফুররী গলে যায় এবং ধানের ঘরের দিকে এমনভাবে তাকায়; যাতে চতুর ভাঁডু বুঝতে পারে যে, কালকেতু ধানের ঘরে লুকিয়ে আছে।
শেষে ভাঁডুর কথামত কলিঙ্গ মন্ত্রী ধানের ঘর হতে কালকেতুকে বন্দী করে।