কালকেতুর ধন প্রাপ্তির বর্ণনা দাও
কালকেতুর ধন প্রাপ্তির বর্ণনা দাও।
![]() |
কালকেতুর ধন প্রাপ্তির বর্ণনা দাও। |
উত্তর:স্বর্ণগোধিকা রূপে চণ্ডীদেবী কালকেতুর বাড়ি এসে সুন্দরী রমণী বেশ ধারণ করে এবং ফুল্লরার সাথে এ বাড়ি থেকে যেতে চায়। ফুল্লরা নানা উপায়ে সুন্দরীকে তাড়াতে চায় ।সে হিতোপদেশ, বংশ মর্যাদা, সতীনের সাথে ব্যবহারের নিয়ম ইত্যাদি বলেও না পেরে দাম্পত্য জীবনে দারিদ্র্যের চিত্র তুলে ধরে। তাতেও দেবী যেতে চায় না। ফলে সে হাটে গিয়ে কালকেতুকে ডেকে নিয়ে আসে। কালকেতুও সুন্দরীকে বুঝিয়ে সুজিয়ে তার নিজ বাড়িতে রেখে আসতে চায়।
কিন্তু সুন্দরী বলে যে, সে চণ্ডীদেবী এবং কালকেতুকে বর দিয়ে, ধনদৌলত দিয়ে গুজরাটের রাজা করতে চায়। কালকেতু দেবীকে শর মারতে উদ্যত হয়। দেবীর ঐ একই কথা। শেষে কালকেতু বলে যে, সে এসব কথা বিশ্বাস করতে পারে যদি কিনা আশ্বিনে যে রূপে চণ্ডী আবির্ভূত হয় এবং মানুষ তাকে পূজা করে, সে রূপ ধারণ করলে তবেই সে এসব বিশ্বাস করবে। অতঃপর চণ্ডী সেই রূপই ধারণ করে।
দেবী মহিষ মৰ্দ্দিনীরূপ ধারণ করলে কালকেতু ও ফুল্লরা তা দেখে মূর্ছা যায়। দেবীর কৃপায় মূর্ছা ভাঙলে দেবীকে নমস্কার করে, ফুল্লরা জয়জয়াকার ধ্বনি দেয়। দেবী পূর্বের শরীরে ফিরে কালকেতুকে মাণিক্য আঙুরি দিতে গেলে ফুল্লরা নিষেধ করে- একটি আঙুরি নিয়ে তারা দুর্নাম করবে না। দেবী তখন কালকেতুকে ঝুড়ি, কোদাল, খন্তা ও সিকাভার নিয়ে ডালিম গাছের কাছে গিয়ে খুঁড়তে বলে, খুঁড়তে খুঁড়তে কালকেতু সাতঘড়া ধন পায়।
ধনরক্ষার জন্য দেবী দু'ঘড়া নিয়ে কালকেতু ঘরের দিকে যাত্রা করে, ফুল্লরা সাথে যায় ধনের কাছে থাকে। ওদিকে ফুল্লরা ঘরে ধন পাহারা দেয়। তৃতীয়বারে কালকেতু দেবী চণ্ডীকে ধনঘড়া নিয়ে কালকেতুর ঘরে পৌঁছে দিতে বলে। দেবী ধনঘড়া কাঁখে করে কালকেতুর পিছু পিছু যায়। কালকেতু মাঝে মাঝে পিছনে তাকিয়ে দেখে যে- ধনঘড়া নিয়ে পার্বতী পালায় কি না? না, দেবী ঠিকই কালকেতুর ধনঘড়া কালকেতুর ঘরে পৌঁছে দেয়। এভাবে দেবী কালকেতুকে ধন দিয়ে তার পূজা করার বিষয়ে সহযোগিতা করে।