শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে বিধৃত ছন্দের পরিচয় দাও
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে বিধৃত ছন্দের পরিচয় দাও
![]() |
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে বিধৃত ছন্দের পরিচয় দাও |
উত্তর : মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের আদি নিদর্শন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য। এ কাব্যের ভাষা ও ছন্দ লালিত্যময়। বাংলা ছন্দের ইতিহাসে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের ছন্দের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এর অধিকাংশ ছন্দই পয়ার। এতে প্রথম বাংলা অক্ষরবৃত্তের নিদর্শন পাওয়া গেছে যেমন-
নিন্দায় চান্দ চন্দন রাধা সব খানে।
গরল সমান মানে মলয় পবনে। (বিরহখণ্ড)
৮/৬ মাত্রার পয়ার ছন্দের উদাহরণ :
তোর ভাগে ছিল রাধা/রতি অনুমতি।
হরিষ করিআঁ তোর/ মাথে ধর ছাতী (ছত্রখণ্ড)
দ্বিপদী ছন্দ ১০/৮ মাত্রার :
গোআল জরম আহ্মেশুন।
দধি দুধে উতপতী। এবেঁ তাকে উপেস্থ কেহ্নে। তোর ভৈল কি কুমতী (নৌকা খণ্ড)
অন্যান্য ছন্দোবন্ধের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ৬/৬/৮ এবং ৮/৯/১০ ভাগের ত্রিপদী যেমন-
ক্ষেপে সজল নয়নে !
দশ দিশে খনে খনে ।
নীলহীন কৈশ যেন নীল নলিনে (বিরহখণ্ড)