শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য অবলম্বনে বিরহখণ্ডে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য অবলম্বনে বিরহখণ্ডে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও  

শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য অবলম্বনে বিরহখণ্ডে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' কাব্য অবলম্বনে বিরহখণ্ডে সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও  

উত্তর : শ্রীকৃষ্ণকীর্তন' মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। এ কাব্যে শ্রীকৃষ্ণের প্রেমে রাধা ও গোপীদের পাগল প্রায় অবস্থা বর্ণিত হয়েছে। তেরো খণ্ডের সমন্বিত এ কাব্যের বংশীখণ্ডের পর বিরহখণ্ডের বর্ণনা করা হয়েছে। বংশী খণ্ডে কৃষ্ণের রাধার সাথে চুক্তিতে সম্মত হলে বাঁশি ফিরে পায়। 

কিন্তু এরপরও কৃষ্ণ রাধার উপর উদাসীন। এদিকে মধুমাস সমাগত। রাধা বিরহ অনুভব করে। কৃষ্ণকে এনে দিতে রাধা বড়ায়িকে বলেছে। এমনকি দধি বিক্রি করার ছল করে রাধা কৃষ্ণ খোজে বের হয়েছে। অবশেষে রাধা কৃষ্ণকে বৃন্দাবনে বাঁশি বাজানো অবস্থায় পায়। 

রাধাকে দেখে কৃষ্ণ অভিযোগ করে বলে তুমি নানা সময় আমাকে লাঞ্ছনা করেছ, মায়ের কাছে আমার বিরুদ্ধে নালিশ করেছ, ভার বহন করিয়েছ। ফলে তোমার উপর থেকে আমার মন উঠে গেছে। রাধা অভিযোগের প্রতি উত্তরে বলে আমি তখন ছোটো ছিলাম। তাই আমাকে ক্ষমা করো। আমি তোমার বিরহে পাগলপ্রায়। তির্যক দৃষ্টিতে তাকালেও আমার দিকে তাকাও। 

একথা শুনে কৃষ্ণ বলে বড়াই যদি তোমাকে প্রেম দিতে আমাকে নির্দেশ করে তবেই আমি রাজি। অবশেষে বড়াই রাধাকে সাজিয়ে দেয় এবং রাধা-কৃষ্ণের মিলন ঘটে। রাধা ঘুমিয়ে পড়লে, কৃষ্ণ রাধাকে রেখে কংস বধ করার জন্য মথুরায় গমন করে। 

ঘুম থেকে জেগে কৃষ্ণকে না দেখে রাধা আবার বিরহে কাতর হয় এবং রাধার অনুরোধে বড়াই মথুরায় কৃষ্ণকে পেয়ে রাধার উন্মাদের অবস্থা বর্ণনা দেয় । তবুও কৃষ্ণ বৃন্দাবনে যেতে রাজি হয় না। কারণ কৃষ্ণ অভিযোগ করে বলে যে, আমি মোটেও কটু কথা সহ্য করতে পারি না। রাধা আমাকে কটু কথা বলেছে। এভাবে বিরহখণ্ডে রাধাকৃষ্ণের বিরহের চমৎকার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এ খণ্ডে ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ