বংশীখও অবলম্বনে তৎকালীন মানুষের সমাজসংস্কারের পরিচয় দাও
বংশীখও অবলম্বনে তৎকালীন মানুষের সমাজসংস্কারের পরিচয় দাও
![]() |
বংশীখও অবলম্বনে তৎকালীন মানুষের সমাজসংস্কারের পরিচয় দাও |
উত্তর : শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের নায়িকা চরিত্র রাখা। সে গোপবধূ। কৃষ্ণ তার রূপে গুণে মুগ্ধ। অনেক চেষ্টা তনি করার পর রাধা কৃষ্ণের বশে আসে। কৃষ্ণের রতি ভোগে রাধার দেহমনে পরিবর্তন ঘটে।
ফলে কৃষ্ণের আরতি আরম্ভ করে। অন্যদিকে কৃষ্ণের বাঁশির সুমধুর সুরে রাধার দেহমনে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। বড়ায়ির পরামর্শে রাধা কৃষ্ণের বাশি চুরি করে কলসির মধ্যে লুকিয়ে রাখে।
কৃষ্ণ বুঝতে পারে রাধাই তার বাঁশি চুরি করেছে। শত অনুনয় বিনয় করেও কৃষ্ণ যখন রাধার কাছ থেকে হারানো বাঁশি নিতে পারল না তখন ঝগড়া শুরু করল।
রাধাকে নাটুকে গোঁয়ালিনী, ছিনাল, পাপীয়সী বলে গালি দিল। কৃষ্ণের এ গালমন্দের টের রাধা পূর্বেই বুঝতে পেরেছিল যেমন হাঁচি টিকটিকি কিংবা হোঁচট খাওয়া মানলাম না, শুন্য কলসী নিয়ে সখী আগে যাচ্ছিল।
আমার বাঁদিকে শিয়াল যাচ্ছিল ডার্নর্নিকে, হাতে খাপরা নিয়ে যোগিনী ভিক্ষা করছিল, কাঁধে তৈলপাত্র নিয়ে তৈলী যাচ্ছিল আগে আগে, শুকনো ডালে বসে কাক ডাকছিল।
এগুলো দেখে রাধার মনে হচ্ছিল যে আজ তার অশুভ হবে। যা সত্যিই সত্যিই প্রমাণিত হলো। এভাবে আমরা বংশীখণ্ডে রাধা চরিত্রে তথা মধ্যযুগের মানুষের মধ্যে কুসংস্কারের পরিচয় পাই।