না বুঝে পা দিনু ফাঁদে অমনি ধরিল হাসিয়া ভাসুর তব আমায় তখনি ব্যাখ্যা কর
না বুঝে পা দিনু ফাঁদে; অমনি ধরিলহাসিয়া ভাসুর তব আমায় তখনি। ” — ব্যাখ্যা কর ।
![]() |
না বুঝে পা দিনু ফাঁদে; অমনি ধরিলহাসিয়া ভাসুর তব আমায় তখনি। ” — ব্যাখ্যা কর । |
উত্তর পঞ্চবটীবনে স্বামী ও দেবরকে নিয়ে সীতা সুখেই ছিল। একদিন হঠাৎ তাদের কুটিরের সামনে দিয়ে বন উজ্জ্বল করা রূপের অধিকারী হরিণ দেখে রাম তার পিছু নেয়।
এ হরিণ মূলত মারীচের ছদ্মবেশ, মরুভূমির মরীচিকার মত। সীতার পাহারায় লক্ষ্মণকে নিযুক্ত থাকার নির্দেশ দিয়ে রাম মায়ামৃগের পেছনে ধাবিত হয়। হঠাৎ রামের আর্ত-চিৎকার শোনা যায়। “কোথা রে লক্ষ্মণ ভাই, এ বিপত্তিকালে? মরি আমি।”
সীতা লক্ষ্মণকে অনুরোধ করে সে যেন দ্রুত গিয়ে তার বিপদগ্রস্ত অগ্রজকে রক্ষা করে। কিন্তু লক্ষ্মণ সীতাকে একা রেখে যেতে চায় না। আবার রামের কণ্ঠে আর্ত-চিৎকার ভেসে আসে। সীতা অস্থির হয়ে ওঠে। লক্ষ্মণ যেতে চায় না।
সীতা লক্ষ্মণকে ভীরু, কাপুরুষ, পাষণ্ড, বীরকুল গ্লানি বলে ভর্ৎসনা করে নিজে যেতে চায়, তখন লক্ষ্মণ নিজেই ছুটে যায় বনের মধ্যে।
এ সময়ে রাবণ যোগীর ছদ্মবেশে সীতার কাছে এসে ক্ষুধার্ত যোগীকে খাবার দিতে বলে। সীতা তাকে গাছের নিচে বসে বিশ্রাম নিতে বলে এবং রাম-লক্ষ্মণ ফিরে এলেই তাকে খাবার দেবে বলে জানায়। কিন্তু যোগীর তর সয় না।
সে ব্রহ্মশাপ দিয়ে অন্যত্র চলে যাবে বলে ভয় দেখায়। অভিশাপের ভয়ে সীতা ভিক্ষাদ্রব্য নিয়ে বাইরে এলেই রাবণ তাকে রথে তুলে ফেলে। সীতার শত ক্রন্দনেও তাকে রক্ষা করতে কেউ এগিয়ে এলো না। সীতাকে হরণ করে রাবণ তার ভগ্নি সূর্পণখার অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছে।