এই যেন শেষ রক্তহয় মাতা কে কাকে কখন একথা বলেছে ব্যাখ্যা কর

এই যেন শেষ রক্তহয় মাতা কে কাকে কখন একথা বলেছে ব্যাখ্যা কর 

এই যেন শেষ রক্তহয় মাতা কে কাকে কখন একথা বলেছে ব্যাখ্যা কর
এই যেন শেষ রক্তহয় মাতা কে কাকে কখন একথা বলেছে ব্যাখ্যা কর 


উত্তর :'বিসর্জন' প্রথাধর্মের সাথে মানবধর্মের সংঘাতের নাটক। মানবধর্মের প্রতীক রাজা গোবিন্দমাণিক্য অপর্ণার ছাগশিশু বলিদানের প্রেক্ষিতে তার রাজ্যে বলিদান নিষেধ করে। এতে করে মন্দিরের পুরোহিত অহংকারী ব্রাহ্মণ রঘুপতির দর্পচূর্ণ হয়।

 তাই সে রাজাকে হত্যা করার জন্য মিথ্যে স্বপ্নের আশ্রয় নেয়। সে তার শিষ্য জয়সিংহকে জানায় যে দেবী রাজরক্ত চায়। গুরুবাক্যে বিশ্বাস করে জয়সিংহ রাজাকে হত্যায় উদ্যত হয়ে প্রকৃত সত্য জেনে যায়। রাজহত্যা মূলত রঘুপতির গর্ব, দর্প ও অহংকার রক্ষাহেতু । জয়সিংহ সব জেনে বুঝে গুরুকে কথা দেয় যে সে শ্রাবণের শেষ রাতে রাজরক্ত এনে দেবে। 

জয়সিংহ স্পষ্ট বুঝেছে যে রক্তপাত ভিন্ন এ সংঘাতের পরিত্রাণ নেই। তাই সে গুরুর ঋণ শোধ করতে দেবীর সামনেই আত্মহনন করে, কারণ তার শরীরে বইছে রাজরক্ত। মৃত্যুর আগে দেবীর কাছে তার শেষ মিনতি- তার রক্তই যেন শেষ রক্ত হয়। দেবী বা দেবীভক্ত রঘুপতি যেন আর রক্তপাত না ঘটায়। তার এ রক্ত দানের মাধ্যমে সে চির হিংসা ও রক্তপাতের পরিসমাপ্তি কামনা করেছে। তার এ বেদনাদীর্ণ আত্মহননে সকল দ্বন্দ্বের হয়েছে অবসান ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ