আছিলাম একাকিনী বসিয়া কাননে আনিয়াছে তোর স্বামী বান্ধি নিজগুণে কে কেন বলেছে
আছিলাম একাকিনী বসিয়া কাননে,
আনিয়াছে তোর স্বামী বান্ধি নিজগুণে।”-কে, কেন বলেছে?
![]() |
আছিলাম একাকিনী বসিয়া কাননে, আনিয়াছে তোর স্বামী বান্ধি নিজগুণে।”-কে, কেন বলেছে? |
উত্তর : ব্যাধ কালকেতুর শিকারের তোড়ে বনের পশুপক্ষী অস্থির হয়ে দেবী চণ্ডীর কাছে নালিশ জানালে দেবী পশুদেরকে আড়ালে থাকতে বলে নিজে স্বর্ণগোধিকা রূপ ধারণ করে কালকেতুর সামনে পড়ে। কালকেতু সেদিন কোনো পশু শিকারে ব্যর্থ হয়ে স্বর্ণগোধিকাকে ধরে এনে বারান্দায় রেখে হাটে চলে যায়। কালকেতু চলে গেলে দেবী সুন্দরী যুবতীর রূপ ধারণ করে।
ফুল্লরা বাইরে থেকে ঘরে এসে সুন্দরীকে দেখে সে বিভ্রান্ত হয়, এবং মনে করে সে হয়ত আমার ভবিষ্যৎ সতীন হবে। তাই ফুল্লরা সুন্দরীকে নানাভাবে জ্ঞান দেয় এবং স্বামীর স্বভাব চরিত্র, তার দারিদ্র্য ইত্যাদি ব্যক্ত করে সুন্দরীকে অপসারণের ব্যর্থ চেষ্টা করে। ফুল্লরার সব কথা শুনে দেবী ফুল্লরাকে জানায় যে, দেবী এসেছে কালকেতুর দুঃখ ঘোচাতে।
ফুল্লরা যতই বলুক না কেন, বীর কালকেতুকে সে ছেড়ে যাবে না। সে কালকেতুকে ধন-দৌলত দিয়ে তার দুঃখ ঘোচাবে। ফুল্লরা যেসব নীতিবাক্য বলেছে সেসব সুন্দরী ভালো করে জানে এবং বুঝে ।
সুতরাং ফুল্লরার উপদেশ শোনার মতো কোনো মেজাজ তার নেই। সে স্পষ্ট বলেছে যে, আমি একাকিনী বনে বসেছিলাম, তোমার স্বামীই আমাকে নিজ প্রয়োজনে নিয়ে এসেছে। এখন ফুল্লরা তাকে তাড়াবার কে। ফুল্লরার বিশ্বাস না হয় তার স্বামীকে গিয়ে এর সত্য- মিথ্যা জিজ্ঞাসা করুক।
তাছাড়া যে কালকেতু তাকে এনেছে সে যদি অন্যত্র যেতে বলে তবেই সুন্দরী ফুল্লরার বাড়ি ছাড়বে, নচেৎ ফুল্লরার কথায় সে এক পা-ও নড়বে না।