তালতলি থেকে মালুর ফিরতে মন চাইত না কেন ব্যাখ্যা কর

তালতলি থেকে মালুর ফিরতে মন চাইত না কেন ব্যাখ্যা কর।
তালতলি থেকে মালুর ফিরতে মন চাইত না কেন ব্যাখ্যা কর
তালতলি থেকে মালুর ফিরতে মন চাইত না কেন ব্যাখ্যা কর

উত্তর : বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমানের সম্মিলিত জীবন নিয়ে এবং অসাম্প্রদায়িক জীবনবোধে অনুপ্রাণিত প্রথম সার্থক সৃষ্টি শহীদুল্লা কায়সারের 'সংশপ্তক' উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রীয় চরিত্র মালু। 

মালুর গ্রামের নাম বাকুলিয়া। আর পাশের গ্রামের নাম তালতলি । মালুকে নানা কারণে তালতলিতে যেতে হতো। আর তালতলি যাওয়ার পর সেখান থেকে মালুর ফিরতে মন না চাওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে। তার মধ্যে ছিল মালুর গ্রামের রাস্তা ছিল সংকীর্ণ আর আঁকাবাঁকা অপরদিকে তালতলির রাস্তাগুলো ছিল সোজা আর প্রশস্ত । 

তালতলির রাস্তাগুলোর দু'পাশেই ছিল আমলকি, জাম, কামরাঙ্গা, জামরুল প্রভৃতি ফল ও ফুলের গাছ। মাঝে মাঝে ছিল কেয়ার জঙ্গল। অজস্র কাঁঠালিচাপার গাছ সারা গ্রামটিতে ভুর ভুর গন্ধ ছড়াত। তাছাড়া তালতলিতে ছিল বড় বড় দালান। আর বাকুলিয়ায় ছিল দুটো দালান; মিঞাদের আর সৈয়দদের। 

কিন্তু তালতলির দালানের তুলনায় ওগুলো যেন কবুতরের খোপ মনে হতো। দালানগুলোর চেয়েও তালতলি ইয়া বড় বড় টিনের চৌচালাগুলো মালুর অনেক বেশি ভালো লাগত। ভালো লাগত তালতলির তকতকে ঝকঝকে মাটির ভিটি। 

বাকুলিয়া যে বড় নোংরা ছিল সেকথাটা মালুর মনে পড়ে যেত তালতলিতে গিয়েই। তালতলি ও বাকুলিয়ার মধ্যে বৈসাদৃশ্য দেখে বাকুলিয়া ফেরার কথা মনেই থাকত না মালুর। এর মধ্য দিয়ে আমরা মালুর ভালো লাগা ও মন্দ লাগার দিকটি খুঁজে পাই ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ