শিকড় খাওয়া নিয়ে সাত রানির মধ্যে কী অবস্থার সৃষ্টি হয়

 শিকড় খাওয়া নিয়ে সাত রানির মধ্যে কী অবস্থার সৃষ্টি হয়

শিকড় খাওয়া নিয়ে সাত রানির মধ্যে কী অবস্থার সৃষ্টি হয়
 শিকড় খাওয়া নিয়ে সাত রানির মধ্যে কী অবস্থার সৃষ্টি হয়

উত্তর : দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার সম্পাদিত "ঠাকুরমার ঝুলি” গ্রন্থের অন্তর্গত 'কলাবতী রাজকন্যা' গল্পে রাজার সাত রানির কোন সন্তান হতো না। একদিন রানিরা নদীর ঘাটে স্নান করতে গেলে এক সন্ন্যাসীর সাথে দেখা হয়। 

সন্ন্যাসী তখন বড়রানির হাতে একটি গাছের শিকড় দিয়ে বলে এটি বেটে সাতরানি খেলে রানিদের সোনার চাঁদের মত ছেলে হবে। তখন রানিরা মনের আনন্দে তাড়াতাড়ি স্নান করে এসে কাপড় চোপড় ছেড়ে গা মাথা শুকিয়ে সকলে পাকশালে রান্না করতে যায়। 

আজ বড়রানি ভাত রাখিবেন, মেজরানি তরকারি কাটবেন, সেজরানি ব্যঞ্জন রাধিবেন, ন-রানি জল তুলিবেন, কনে রানি যোগান দেবেন, দুয়োরানি বাটনা বাটিবেন আর ছোটরানি মাছ কুটিবেন। পাঁচ রানি পাকশালে রহিলেন। 

আর ন-রানি কুয়োর পাড়ে গেলেন এবং ছোট রানি পাশাদার পাশে মাছ কাঠিতে বসিলেন। তখন বড়রানি দুয়োরানিকে শিকড় বাটিতে বলিলেন। শিকড় বাটিতে বাটিতে দুয়োরানি কতটুকু নিজে খেয়ে নেই। তারপর রুপার খালে সোনার বাটি দিয়ে ঢাকিয়া বড়রানির কাছে নিয়ে যায়। 

বড়রানি ঢাকনা খুলে কিছুটা খেয়ে মেজরানির হাতে দেয়। মেজরানি কিছুটা খেয়ে সেজরানির হাতে দেয়। সেজরানি কিছুটা খেয়ে কনে রানিকে দিলেন। কনে রানি বাকিটুকু খেয়ে ফেললেন। তখন ন-রানি আসিয়া দেখে বাটিতে একটু তলানী পড়ে আছে তিনি তাই খেলেন। 

ছোট রানির জন্য আর কিছুই ছিল না। তখন ছোটরানি দেখলেন তার জন্য আর কোন শিকড়বাটা নেই। এসব দেখে ছোটরানি আছাড় খাইয়া মাটিতে পড়ে যায়। তখন পাঁচ রানি এর দোষও দেয়, ওর দোষও নেয়। এ রকম করিয়া সকলে মিলিয়া গোলমাল করিতে লাগে। তারপর ছোটরানি শিল নোড়া ধুয়ে জল খায়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ