শিয়াল পণ্ডিত গল্পে শিয়াল কীভাবে বুঝতে পারে কুমির মরেনি
শিয়াল পণ্ডিত গল্পে শিয়াল কীভাবে বুঝতে পারে কুমির মরেনি
উত্তর : দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার সম্পাদিত “ঠাকুরমার ঝুলি” গ্রন্থের অন্তর্গত শিয়াল পণ্ডিত' গল্পে তার পাণ্ডিত্য জাহির করার জন্য একটি পাঠশালা খোলে শটীর বনে।
সেই পাঠশালায় চিটি পোকা, ঝিঁঝিঁ পোকা, রামফড়িং এর ছা কচ্ছপ, কেন্নো, কেঁচো, বিছে, গুবরে পোকা, আরসুলা, ব্যাঙ, কাকড়া, মাকড়সা প্রভৃতি লেখাপড়া শিখতে আসে।
কুমির তার সাত ছেলের লেখাপড়ার জন্য শিয়ালের কাছে রেখে যায়। শিয়াল প্রতিদিন একটি করে কুমির বাচ্চা দিয়ে জলপান করে।
সাত দিনের মাথায় কুমিরের সাতটি বাচ্চাকে সে ভক্ষণ করে পাঠশালা ভেঙে পালিয়ে যায়। এভাবে তার পাঠশালার লেখাপড়া সমাপ্ত হয়। কুমির তার বাচ্চাদের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মরার ভান ধরে।
কিন্তু ধূর্ত শিয়াল অত সহজে কুমিরের কাছে যায় না। সে কৌশলের মাধ্যমে কুমিরের গুণগান করে এবং মরার লক্ষণ সম্পর্কে বলে-“কান নড়বে পটাপটলেজ নড়বে চটাচট।"কিন্তু বোকা কুমির শিয়ালের চালাকি বুঝতে না পেরে কান এবং লেজ নড়াতে থাকে।
শিয়াল এ থেকে বুঝতে পারে কুমীর মরেনি, বরং তাকে ধরার জন্যই কুমির এ ভান ধরেছিল। তাই কুমির এবার পণ্ডিত শিয়ালের কাছে ধরাশায়ী হয়।