মন্ময় কবিতা কাকে বলে

মন্ময় কবিতা কাকে বলে

মন্ময় কবিতা কাকে বলে
 মন্ময় কবিতা কাকে বলে

উত্তর : কবিতা এক বিশেষ ধরনের সাহিত্য শিল্প। এ শিল্পের উৎস ভূমি ভাবলোকের বেদনাবিদ্ধ কবি হৃদয়। এ হৃদয় যখন বাইরের জগতের রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ শব্দে সুষমামণ্ডিত হয়ে এক অপরূপ মাধুর্যপূর্ণ ভাবানুভূতির ব্যঞ্জনার সে অভিষিক্ত বা রূপায়িত হয় তখনই তা হয়ে ওঠে কাব্য বা কবিতা। 

অর্থাৎ সময় বিশেষে কোনো একটি সূত্রকে অবলম্বন করে কবির আনন্দ বেদনা যখন প্রকাশের পথ পায় তখনই কবিতার জন্ম হয়।আধুনিক কালে কবিতার ভাব ও বিষয়ে এসেছে নতুনত্ব। কবিতা এখন কেবল কবির আত্মগত অনুভবের সৌন্দর্যমূর্তি নয়। 

আবেগ ছাড়াও কবির মধ্যে সামাজিক-রাজনৈতিক-অর্থনৈতিকসহ নানা বিষয়ে চিন্তার ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছে। তাই কবিতা আজ বিচিত্র বিষয় আশ্রয়ী। তাই এসব বিষয়ের আলোকে কবিতাকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। কবিতার অন্যতম শ্রেণিবিভাগ মনুয় কবিতা।

মন্ত্রয় কবিতার সংজ্ঞা : কবি যখন নিজের অনভূতি, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, কামনা বাসনা, আনন্দ বেদনা, ভাবনাচিন্তা ব্যঞ্জনারসে সুষমামণ্ডিত হয়ে সহজ ও সাবলীল ভাষায় আত্মপ্রকাশ করে কিংবা কবি তাঁর কাব্যে সামগ্রীরূপে গ্রহণ করে উপস্থাপন করেন-

তখন আমরা তাঁর সৃষ্টিকে মনুয় বা 'সাবজেকটিভ' কবিতা হিসেবে চিহ্নিত করি। এ জাতীয় কবিতা এক হিসেবে কবির আত্মচরিত বা আত্মবাণী। মনুয় কবিতা আবার বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত। 

ক) ভক্তিমূলক, 

খ) স্বদেশ প্রীতিমূলক, 

গ) প্রেমমূলক, 

ঘ) চিন্তামূলক, 

ঙ) শোকগীতি, 

চ) প্রকৃতিবিষয়ক, 

ছ) সনেট, 

জ) লঘু বৈঠকি কবিতা এবং 

ব) স্তোত্র কবিতা।কাব্য বা কবিতা মানুষের ভাবানুভূতির উজ্জ্বলতম প্রকাশ। 

এ প্রকাশের মধ্য দিয়ে কবি বা সাহিত্যিকগণ চলমান জীবনের আনন্দ বেদনা প্রভৃতিকে উপকরণ করে রূপ-রস-ছন্দ-অলংকারের সহযোগে কাব্য বা কবিতার শরীর নির্মাণ করেন। এবং এভাবেই কবিতা হয়ে ওঠে হৃদয়গ্রাহী ও সুখপাঠ্য।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ