কলিমন কে ? তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধর।
কলিমন কে? তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধর।
কলিমন কে? তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধর। |
উত্তর : আবুল মনসুর আহমদ রচিত “আয়না” গল্পগ্রন্থের 'হুজুর কেবলা’গল্পের তথ্যমতে বাড়িওয়ালার ছোট ছেলে রজবের স্ত্রীর নাম কলিমন। এ গল্পে কলিমন ক্ষুদ্র একটি চরিত্র হলেও এ চরিত্রের মাধ্যমে পীর সাহেবের কামলোলুপতার। চিত্রটি স্পষ্ট হয়।
অসহায় এ নারী পীর সাহেবের নগ্ন কাম পিপাসার শিকার। তার অপরাধ সে নিরপরাধ রজবের বিবাহিতা। স্ত্রী, তার অপরাধ সে অপরূপ সুন্দরী, তার অপরাধ সে একজন অসহায় নারী। ভণ্ড পীর সুকৌশলে তাকে বিয়ে করার সব ষড়যন্ত্র পরিকল্পিতভাবে করেন। তার অভেদ্য ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে অসহায় এ নারী বেরিয়ে আসতে পারেনি।
তৎকালীন সমাজও তাকে রক্ষা করতে পারেনি। বরং সমাজ ছিল অসহায় নারীর বিরুদ্ধে। সমাজে নারীরা ভোগ্যপণ্য। ধর্মকথা বুঝাবার ছলে পীর সাহেব কলিমনের সংস্পর্শে আসে। তার রূপের আগুনে পীরসাহেব দগ্ধ হয়, কু নজর পড়ে তার উপর।
কলিমনকে বিয়ে করার পাকা পরিকল্পনা করে পীর সাহেব। আয়োজন করে মোরাকেবা অনুষ্ঠানের। মোৱাকেবায় বসে সুফি সাহেবের মুখ দিয়ে প্রকাশ পায়। সে সাধারণ মানুষ নয়, শরিয়ত অনুযায়ী তাকে চার বিবি গ্রহণ না করলে তার আমল সঠিক হবে না এবং তার মুরিদানের কেউই নফসানিয়তের হাত এড়াতে পারবে না।
পীর সাহেব এ কণা শুনে তার মুরিদানের জন্য এক বৃদ্ধাকে বিবাহ করার কথা বলে। তখন রাসূলের রুহ ধারণকারী সুফি সাহেব একটু রেগে গিয়ে তাকে আসতাগফার পড়তে বলে এবং সে সঙ্গে ঘোষণা দেয় 'তোমার বিবাহ ঠিক হইয়া আছে। বেহেশতে আমি তার ছবি দেখিয়া আসিয়াছি।" পীর সাহেব জানতে চায় কাকে বিবাহ করতে হবে।
সুফি সাহেব জানায় “এ বাড়ির তোমার মুরিদের স্ত্রী ছোট ছেলে রজবের কলিমন কে। " কলিমনের ঘন ঘন মূর্ছার মধ্যে খুব তড়িঘড়ি করেই শুভকাজ সমাধা হয়ে গেল। এভাবে পীর সাহেব রজবের সুন্দরী স্ত্রী কলিমনকে ষড়যন্ত্র করে তার স্বামীর কাছ থেকে তালাক নিয়ে নিজের বউ করে ঘরে নিয়ে যায়।