যদি বর্ষে মাঘের শেষ ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ ব্যাখ্যা কর

যদি বর্ষে মাঘের শেষ ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ ব্যাখ্যা কর

যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ”- ব্যাখ্যা কর
যদি বর্ষে মাঘের শেষ, ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ”- ব্যাখ্যা কর

উত্তর : বচন মূলত অভিজ্ঞতার ফসল- এই অভিজ্ঞতার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আছে কৃষকদের চাষাবাদের নানা নিয়ম-কানুন-বিধি-নিষেধ এবং ভবিষ্যৎবাণী। প্রদত্ত খনার বচনে ফুটে উঠেছে ফসলে দেশ ভরে উঠার চিত্র। 

কপ্রকাশনী লিমিটেওকৃষক জীবনের বিচিত্র অভিজ্ঞতাই খনা নামে প্রচারিত হয়েছে। ছড়া জাতীয় বিভিন্ন রচনায় এদেশের আবহাওয়া ও কৃষি সম্পর্কিত বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতার রূপায়ণ ঘটেছে খনার বচনে। 

এসবের মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে নীতিকথা ও বহুদর্শী উপদেশ। খনার বচনে সাধারণভাবে কৃষিকর্মের নিয়ম, আবহাওয়ার লক্ষণ ও ফলাফল, তিথিগণনা ও শুভাশুভ দিনক্ষণের হিসাব প্রভৃতি। 

এছাড়া খনার বচনে শস্যরোপণ, কর্তন, আলবন্ধন, বন্যার গণনা, মড়ক, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, আবহাওয়া প্রকৃতির কথার স্বতঃস্ফূর্ত প্রকাশ লক্ষ করা যায়। 

কৃষকশ্রেণির মধ্যে খনার বচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। কৃষির সাথে বর্ষার সম্বন্ধ অপরিসীম। বাংলাদেশের কৃষি প্রকৃতিনির্ভর। কাজেই অগ্রহায়ণ মাসে বৃষ্টি না হলে ফসল ভালো হবে না। 

আর ফসল না হলে দেশে হবে দুর্ভিক্ষ। অন্যদিকে মাঘের শেষে বৃষ্টি হলে তা ফসলের জন্য খুবই উপকারী। কেননা শীতের রিক্ততা শেষে প্রকৃতি বিরূপ হয়ে পড়ে- আর এসময় বর্ষা না হলেও ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিংবা পরিমাণে অল্প ফসল ফলে। 

কিন্তু এসময় বৃষ্টি হলে ফসল দ্রুত বেড়ে ওঠে এবং ফুলে-ফসলে চারপাশ সজীব হয়ে ওঠে। তাই বচনের চিত্রে পাওয়া যায়- 'যদি বর্ষে মাঘের শেষ ধন্যি রাজার পুণ্য দেশ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ