জল্লাদের পরিচয় দাও
জল্লাদের পরিচয় দাও
![]() |
জল্লাদের পরিচয় দাও |
উত্তর : মনসুর বয়াতি রচিত, দীনেশচন্দ্র সেন সংকলিত “মৈমনসিংহ গীতিকার" অন্তর্গত 'দেওয়ানা মদিনা' পালাতে জল্লাদ একজন অর্থলোভী মানুষ ছিল। সে অর্থের বিনিময়ে সবকিছু করতে পারতো। তাই সে সোনাফর মিঞার স্ত্রীর দেওয়া বিশ পুড়া জমির জন্য আলাল ও দুলালকে হত্যা করতে রাজি হয়।
পালাকারের ভাষায়-“বিশ পুড়া জমি দিলে জানবাইন মনে মনে।না পারি মুই এমন কাম নাই তিরভুবনে ॥”জান তখন আলাল ও দুলালকে মারার জন্য ময়ূরপঙ্খী নাও করে নদীর মাঝে নিয়ে যায়। জল্লাদ যখন আলাল ও দুলালকে আজ মেরে ফেলবে বলে দুই ভাই কান্নাকাটি করে।
জন্মাদ তাদের মারতে গেলে আলাল বলে তাকে মেরে তার ভাইকে ছেড়ে দিতে । দুলাল বলে তাকে মেরে তার ভাইকে ছেড়ে দিতে। জল্লাদ ভিষণ বিপদে পড়ে। তখন দুই ভাই জন্মাদের পা ধরে কান্নাকাটি করলে জন্মাদের মনে পাপবোধ জাগ্রত হয় এবং আলাল-দুলালের প্রতি দয়া হয়।
পালাকারের ভাষায়-"কান্দন না শুন্যা জল্লাদ ভাবে মনে মনে ।এই খান রাখ্যা গেলে বাঁচিব পরাণেঃ বাপের রাজ্যেতে নাই সে পারিব যাইতে।বিনাদোষে মারা কেনে যাই পাপ করিতে ।”
তাই তাদেরকে না মেরে সাধু সদাগর নামের এক ব্যক্তির কাছে দিয়ে চলে আসে। জল্লাদ একজন অর্থলোভী মানুষ হলেও তার মনে দয়া মায়া ছিল। এ কারণে সে আলাল দুলালকে মারতে পারেনি।