ধর্মরাজ্য গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা কর
ধর্মরাজ্য' গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা কর ।
ধর্মরাজ্য' গল্পের বিষয়বস্তু আলোচনা কর । |
উত্তর : আবুল মনসুর আহমদ [১৮৯৮-১৯৭৯] বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যঙ্গরসাত্মক গল্পকার। বাস্তব জীবন ও সমকালকে উপজীব্য করে গল্পে ব্যঙ্গরস সৃষ্টি তাঁর লেখকসত্তার প্রধান গুণ। তাঁর অসাধারণ সৃষ্টি 'আয়না' গল্পগ্রন্থে সমকালীন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ও একই ধর্মের মধ্যে অন্তর্কোন্দলের চিত্র উঠে এসেছে।
ভারতবর্ষে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল তার প্রমাণ পাওয়া যায় এ গ্রন্থের ধর্ম-রাজ্য গল্পে। লেখক তৎকালীন হিন্দু-মুসলমানদের পারস্পরিক দাঙ্গায় পাশবিক মানুষ হত্যার ঘটনাকে প্রত্যক্ষ করেছেন। তার এ বাস্তব জীবন অভিজ্ঞতার ঘটনাকে তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ করে এক স্বপ্নময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তিনি এ গল্পটির অবয়ব কাঠামো নির্মাণে অসাধারণ ব্যঙ্গ স্রষ্টার পরিচয় দিয়েছেন।
'ধর্ম-রাজ্য' গল্পের বিষয়বস্তু : ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা নামক বস্তুটি ইংরেজদের হস্তগত হয়। তারা এদেশে শাসনের নামে শোষণ ও নির্যাতনের চরম সীমা অতিক্রম করে।
এক সময় এদেশবাসী তাদের শোষণে অতিষ্ঠ হয়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের পথে অগ্রসর হয়। ইংরেজদের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের পূর্বশর্ত ছিল হিন্দু-মুসলমানের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম, কিন্তু ব্রিটিশদের সূক্ষ্মচালে এ দু সম্প্রদায়ই নানাবিধ কলহে লিপ্ত হয় এবং ক্রমশ তা ধর্মীয় দাঙ্গায় রূপান্তরিত হতে থাকে। ১৯২৬ এর দাঙ্গা ও ১৯৪৬ এর কলকাতা বিহারের দাঙ্গা
এ দু ধর্মের সকল সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে ছাড়িয়ে গেছে। তৎকালে সবচেয়ে বৃহত্তম দাঙ্গা সংঘটিত হয় ১৯২৬ সালে কলকাতায়। রাজ রাজেশ্বরী মিছিলের বাজনা নিয়ে এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয়। একদিকে মসজিদের সামনে বাজনার দাবিতে হিন্দুরা উগ্র হয়ে ওঠে এবং অন্যদিকে মসজিদের সামনে হিন্দুদের বাজনার প্রতিবাদে ও তা প্রতিহত করতে মুসলমানরা দুর্বার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ দাঙ্গায় পক্ষের বহু লোক হতাহত হয়।
ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান নিয়ে অর্থাৎ একপক্ষের ধর্মীয় আচার পালনে অন্যপক্ষের আপত্তি নিয়ে ধর্মীয় কলহ তথা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিষয়টিই উঠে এসেছে ধর্ম-রাজ্য গল্পে। ধর্মরক্ষার নামে যারা হাজার হাজার নরনারী ও শিশু হত্যা করে মানবতাকে কষাঘাত করেছে তাদেরকে ব্যঙ্গ করতে গিয়ে আবুল মনসুর আহমদ ও হাস্য রসাত্মক গল্পটি নির্মাণ করেছেন।
সে সাথে যারা এ দাঙ্গা সৃষ্টিতে মদদ কিংবা উসকানি দিয়েছে এবং দাঙ্গার সময় নীরব ভূমিকা পালন করেছে, সে সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজদেরও লেখক এ গল্পে ব্যঙ্গ করেছেন। রাজ রাজেশ্বরী মিছিলের বাদ্যবাদন ও মসজিদের সামনে বাজনার বিরুদ্ধে মুসলমানদের প্রতিরোধ আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত এ গল্পে কথক স্বপ্নরাজ্যে বিচরণ করেছেন।
বাইরে কোলাহলের শব্দে কথকের ঘুম ভেঙে যায়। সে বাইরে এসে দেখে কাতারে কাতারে হাজার হাজার মুসলমান ইটপাটকেল, ছুর, লাঠি গাছের ডাল ইত্যাদি নিয়ে দৌড়াচ্ছে। তাদেরই একজনের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন হিন্দুরা মসজিদের সামনে দিয়ে বাদ্য বাজিয়ে যাবে।
মুসলমানরা তাদের ইজ্জত রক্ষার্থে, মসজিদের পবিত্রতা রক্ষার্থে সর্বোপরি ইসলামকে বিপন্নতার হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে সমবেত হয়েছে এবং তারা হিন্দুদের বাদ্য বাজানো প্রতিহত করবে। ধর্ম যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ঐ ব্যক্তিটি আরো জানায় আমরা ইসলামের ইজ্জতের জন্য জান নেসার করিতে ছুটিয়াছি। তোমার যদি মুরাদ থাকে, তবে ধর্মের জন্য প্রাণ দিয়া শহিদ হইবার এ সুযোগ ছাড়িও না।
কথকও একজন মুসলমান হিসেবে ধর্ম যুদ্ধে অংশ নিয়ে সওয়াবের ভাগী হওয়ার জন্যে যুদ্ধে শরীক হন। সে মনে মনে ভাবে ইসলামের ইজ্জতই যদি নষ্ট হয়, তবে আমাদের বাঁচিয়া লাভ কি? দুষ্ট হিন্দুরা পবিত্র মসজিদের সামনে দিয়া বাদ্য বাজাইয়া যাইবে, ইহাও কি আমাদিগকে চোখ মেলিয়া বরদাশত করিতে হইবে? কথক ইসলাম রক্ষার আনোদলনে যোগ দিয়ে অবাক হয়।
দলে দলে মুসলমানদের এ অহেতুক ধর্ম যুদ্ধের অংশগ্রহণকে তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ করে মন্তব্য করেন সবারই মুখ ধর্মের জ্যোতিতে জ্যোতিম্মান .... তবে ত মুসলমান আজও মরে নাই ।
মসজিদের সামনে দিয়ে হিন্দু বাদ্য বাজানো দৃঢ়সংকল্পের মধ্য দিয়ে লেখক তৎকালীন হিন্দুসমাজের চরম গোঁড়ামিকে তুলে ধরেছেন। হিন্দুরাও তাদের বাদ্য বাজনা চালিয়ে যাওয়ার জন্যে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একত্রিত হয়েছে।
যে হিন্দুরা বর্ণ প্রথায় জর্জরিত হয়েছে, উচ্চ বর্ণের হিন্দু দ্বারা নিম্ন বর্ণের হিন্দুগণ নিষ্পেষিত হয়েছে এবং কখনো বিভিন্ন বর্ণের হিন্দুরা একত্রে খাওয়া থাক দূরের কথা একত্রে হাঁটাচলা কিংবা কথা বলতে দ্বিধাগ্রস্ত থাকত, সেই হিন্দুদের শুধুমাত্র ধর্মের জন্যে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধর্ম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে দেখে কথক বিস্মিত হন।
এ বাদ্যপ্রিয় হিন্দুসমাজের তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ করেছেন লেখক কথকের মুখ দিয়ে বিভিন্ন বর্ণের হিন্দুর মধ্যেকার তীব্র অনৈক্যের জন্য আমি হিন্দু বন্ধুদের অনেক সময় তিরস্কারও করিয়াছি। সেই বিচ্ছিন্ন হিন্দুসমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে, ধর্ম ত বড় কথা, বাদ্যের জন্য এমন করিয়া প্রাণ দিতে প্রস্তুত দেখিয়া আমি হিন্দুদের সম্বন্ধে আমার পূর্বের ধারণা বদলাইলাম।
মুসলমান ও হিন্দু উভয়ই অপর ধর্মকে ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকলে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। মুসলমানরা আল্লাহ আকবার এবং হিন্দুরা হিন্দুধর্ম কি জয় ধ্বনি তুলে পরস্পর পরস্পরকে আঘাত করতে থাকে। হিন্দু মুসলিম উভয়ই বিশ্বাস করে এ যুদ্ধ ধর্মের জন্যে এবং এ যুদ্ধে জীবন যাওয়া মানে নিশ্চিত স্বর্গবাসী বা জান্নাতবাসী হওয়া।
ফলে উভয়পক্ষই নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে থাকে এবং মানুষ হত্যা করতে থাকে। এ বিষয়টিকে লেখক ব্যঙ্গ করেছেন এভাবে গোরা সার্জেন্টরা ঘোড়ায় চড়িয়া ধর্ম যুদ্ধেরত ভারতবাসীর স্বর্গাগমনের ধারা পর্যবেক্ষণ করিতে লাগিল ।
এ উক্তির মাধ্যমে লেখক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের নির্বিকার পুলিশ প্রশাসনেরও ব্যঙ্গ করেছেন। তারা এ দাঙ্গার সময় পাশে দাঁড়িয়ে মজা দেখেছে। দাঙ্গা-হাঙ্গামা থামার পর তারা এসে কিছু লোক গ্রেপ্তার করেছে। তাদের এ ভূমিকায় একজন ভদ্রলোক প্রশ্ন তুললে ইংরেজ পুলিশ কর্তা ভারতবাসীকে সূক্ষ্ম কটাক্ষ করে রসালো ব্যঙ্গ করে।
তার এ ব্যঙ্গোক্তির মধ্য দিয়ে ইংরেজদের নির্লিপ্ততাও প্রকাশ পেয়েছে। সে ভদ্রলোকের প্রশ্নের জবাবে বলে ভারতবাসীর ধর্ম কার্যে বাধা দেই বলিয়া আমরা ইংরাজ জাতির ইতিমধ্যেই অনেক বদনাম হইয়াছে। আমাদের সে বদনামের পাল্লা আর ভারী করিতে চাই না।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিতে কংগ্রেস ও খেলাফতী নেতাদের ভূমিকার প্রতিও এ গল্পে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। তারা নিজ নিজ ধর্মের মানুষকে এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থেকে না বাঁচিয়ে বরং নেতৃত্ব দিয়েছে এবং হিন্দু ও মুসলমানদের উগ্রতা দেখে খুশি হয়েছে। এ স্বার্থান্বেষী নেতাদের ব্যঙ্গ করে কথক মন্তব্য করেছেন ভারতীয় হিন্দু ও মুসলমানের মধ্যে যখন এমন ধর্মভাব জাগরুক হইয়াছে, তখন স্বরাজ না হইবার আর কোনো কারণ থাকিল না।
কংগ্রেস খেলাফত নেতারা এতদিন এই বস্তুটির অভাবের জন্য আফসোস করিতেছিলেন। এ উক্তির মাধ্যমে স্পষ্ট হয় তৎকালে কংগ্রেস ও খেলাফতী নেতারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করার জন্যে আন্দোলন চালান নি, বরং তাদের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক চেতনা জাগ্রত হয়েছে।
ভারতবর্ষের হিন্দু মুসলিমরা ধর্ম যুদ্ধে লিপ্ত থেকেছে, অপরদিকে ইংরেজরা তাদের প্রভুত্বকে সমাসীন রেখেছে। এদেশের ধর্মীয় সংঘাত বন্ধের নামে তারা আরো উসকানি দিয়েছে। হিন্দু মুসলিম সংঘাত শুরুর আগে তা বন্ধ করার জন্যে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ সংঘাতের পর তারা যেখানে যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া হয়নি সেখানে মানুষ গ্রেপ্তার করে যুদ্ধের মনোভাব ছড়িয়ে দেয়।
ফলে সারা দেশে হিন্দু পল্লিতে মুসলমানেরা হিন্দুদের উপর মারপিট ও লুটপাট চালাতে থাকে। এর ফলে অনেক মানুষ তাদের আবাসস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু যারা পালাতে পারেনি তারা নিহত হয়। এ বিশ্ববেহায়া ইংরেজ সরকারই সংঘাত বন্ধের সুরাহা করে।
যারা এদেশকে শোষণ করছে তাদের কাছেই এদেশের দু সম্প্রদায় বিচারের প্রার্থনা করে। অবশেষে সরকার হুকুম জারি করেন যেসব স্থানে মসজিদের সংখ্যা বেশি সেসব স্থান মুসলিম মহল্লা বলে বিবেচিত হবে, সেখানে মসজিদের সামনে বাদ্য বাজনা চলবে না, এসব মুসলিম মহল্লায় যে সময় মুসলমানেরা নামাজ পড়বে না তখন হিন্দুরা পূজার কাজ সারবে, অপরদিকে যেসব স্থানে মন্দিরের সংখ্যা বেশি, সেসব স্থান হিন্দু পল্লি বলে বিবেচিত হবে।
সেখানে মসজিদের সামনে হিন্দুরা যত খুশি বাদ্য বাজাতে পারবে। হিন্দু পল্লিতে হিন্দুদের পূজার সময় ছাড়া মুসলমানরা মসজিদে আজান দিতে পারবে।
ইংরেজ সরকারের এ অদূরদর্শী ঘোষণার পর কলকাতার মানুষ যে কাণ্ড করে তা একদিকে যেমন হাস্য রসাত্মক, অপরদিকে ব্যঙ্গাত্মক। এক রাতের মধ্যে কলকাতার সকল বাড়ি স্কুল-কলেজ, আদালত মসজিদ না হয় মন্দিরে পরিণত হয়। সকল মানুষ স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতের কাজসহ সকল কাজ বন্ধ করে অফিস- দেয়।
মুসলমানরা মসজিদের নামাজে এবং হিন্দুরা মন্দিরে পুজোয় রত থাকে। খাওয়ার জন্যে কিছুক্ষণ উপাসনা বন্ধ দিলে অন্য ধর্মের লোকেরা তাদের মহল্লায় প্রবেশ করবে এ ভয়ে নাওয়া-খাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়। ক্রমাগত কয়েকদিন না খেয়ে কথক ব্যতীত সকল হিন্দু মুসলিম মারা যায়।
ধর্মের জন্যে হিন্দু মুসলমানের এ জীবনদানকে লেখক শানিত ভাষায় ব্যঙ্গ করে লিখেছেন তাহাদের পচা দেহ হইতে দুর্গন্ধ বাহির হইতেছে বটে, কিন্তু মুখ তাহাদের ধর্মের জ্যোতিতে উজ্জ্বল।
শেষ নিঃশ্বাস দিয়ে ভারতবাসী ধর্মের অধিকার রক্ষা করেছে। কিন্তু ব্রিটিশ শাসনের পরাধীনতা হতে নিজেদের স্বাধীন ও মুক্ত করার চেতনা কখনো জাগ্রত হয়নি। ভারতবর্ষের মানুষের এ নির্বোধ বোকামির প্রতি ইংরেজ লাট সাহেবের উক্তির মধ্যেও যেন ব্যঙ্গ প্রকাশ পেয়েছে, বাঙালি জাতটা আজ ধর্মের জন্যেই প্রাণ দিল । ধন্য এ জাতি ।
নিজ ধর্মের জন্যে অন্য ধর্মের মানুষকে হত্যা করা এবং সকল কাজ কর্ম বন্ধ করে দিয়ে উপাসনায় ব্রত থাকা যে মানবতাবিরোধী এবং মানবজাতির অস্তিত্বের সংকট সৃষ্টি করে তা এ গল্পে লেখক হাস্যরসাত্মক কাহিনির মধ্য দিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। তিনি সমকালীন জীবনাভিজ্ঞতা থেকেই এ গল্পে তা তুলে ধরেছেন। এ গল্পের কাহিনি যে লেখকের সমকালের জন্যেই প্রযোজ্য তা নয়।
এ ধরনের অন্ধ ধর্মপ্রাতী মানবতাকে আজও বিপন্ন করছে। আজও বিভিন্ন ধর্মের মানুষ ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে কিংবা বোমা মেরে নির্বিচারে নরনারী ও শিশু হত্যা করছে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালানো বর্তমান সময়ের অতি পরিচিত ঘটনা।
সারা বিশ্বে আজ যে অস্থিতিশীলতা সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চালানো বর্তমান সময়ের অতি পরিচিত ঘটনা। সারা বিশ্বে আজ যে অস্থিতিশীলতা এবং যুদ্ধের ঘটনা ঘটছে তার মূলে রয়েছে অধিক ধর্মপ্রীতি। ফলে সমাজ সচেতন লেখক আবুল মনসুর আহমদ 'ধর্ম-রাজ্য' গল্পে যে কাহিনি সাজিয়েছেন তা বর্তমান সময়ের জন্যেও উপযোগিতা সৃষ্টি করে শেষ হয়ে যায়নি। তাই 'ধর্ম-রাজ্য' একটি কালোত্তীর্ণ সফল ব্যঙ্গ রসাত্মক গল্প হিসেবে বাংলা সাহিত্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।