ডাকের বচন ও খনার বচনের মূল পার্থক্য ও সাদৃশ্য তুলে ধর

ডাকের বচন ও খনার বচনের মূল পার্থক্য ও সাদৃশ্য তুলে ধর

ডাকের বচন ও খনার বচনের মূল পার্থক্য ও সাদৃশ্য তুলে ধর
ডাকের বচন ও খনার বচনের মূল পার্থক্য ও সাদৃশ্য তুলে ধর

অথবা, ডাক ও খনার বচন সম্পর্কে সংক্ষেপে লেখ

উত্তর : বচন মূলত অভিজ্ঞতার ফসল। বচনের শ্রেণিবিভাগ নিয়ে মতবিরোধ থাকায় অনেকে বচনকে ডাকের বচন ও খনার বচন নামে আখ্যায়িত করে। মূল ডাকের বচন ও খনার বচনকে আলাদা করা যায় না। তারপরও তাদের মধ্যে যে সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্য আছে তা নিচে তুলে ধরা হলো :

১. কৃষি বিষয়ক ছড়াকে খনার বচন এবং জ্যোতিষশাস্ত্র বিষয়ক ছড়াকে ডাকের বচন বলা হয়। অবশ্য অনেক সময় খনার বচনের মধ্যেও জ্যোতিষবিষয়ক বচন বলা হয়।

২. খনার বচন বাঙালির ঐতিহ্যকে বহন করে- কেননা বাংলাদেশের ঐতিহ্য কৃষিভিত্তিক জীবনের উপর নির্ভরশীল আর এগুলোর রচিত হয় এর ভিত্তিতেই। তবে ডাকের বচন বাঙালির ঐতিহ্যকে বহন করে না।ডাকের বচনগুলোকে সাধারণত জ্যোতিষ বচন বলা যায়। 

কিন্তু এর ভিত্তি জ্যোতিষশাস্ত্রীয় জ্যোতিষ নয়, বরং তার পরিবর্তে লৌকিক জ্যোতিষ। খনার বচনের মধ্যে মাঝে মাঝে জ্যোতিষের কথা শুনতে পাওয়া যায়। তাই ডাক ও খনার বচন অনেক সময় একাকার হয়ে মিশে যায়। কিন্তু তারপরও এদের উদ্ভব এবং প্রকৃতি স্বতন্ত্র। 

8. খনা ও ডাকের বচনে বহির্মুখী জীবনের কথাই প্রকাশ পায়। জীবনের অন্তর্মুখী কোনো পরিচয় প্রকাশ পায় না । 

৫. এসব বচনে কোনো বক্রোক্তি, শ্লেষ কিংবা অন্য কোনো অলঙ্কারের ব্যবহার হয় না।ড. খনার বচনে অনেক সময় কোন বিশেষত্ব থাকে না। কেবল প্রকৃত ঘটনার বিবরণ থাকে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ