আফগানিস্তানের বাজারের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য তুলে ধর
আফগানিস্তানের বাজারের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য তুলে ধর ।
![]() |
আফগানিস্তানের বাজারের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য তুলে ধর । |
উত্তর : কাবুলের বাজার পেশওয়ারের চেয়ে অনেক গরিব, কিন্তু অনেক বেশি রঙিন। কম করে অন্তত পঁচিশটা জাতের লোক, আপন আপন বেশভূষা চালচলন বজায় রেখে কাবুলের বাজারে বেচাকেনা করে।
হাজারে, উজবেগ (বাঙলা উজবুক) কাফিরিস্থানী, কিজিলবাশ মঙ্গোল, কুর্ন-এদের পাগড়ি, টুপি, পুস্তিনের জোব্বা, রাইডিং বুট দেখে কাবুলের দোকানদার এক মুহূর্তে এদের দেশ, ব্যবসা, মুনাফার হার কুঞ্জুশ না দরাজ-হাত চট করে বলে দিতে পারে।
এই সব পার্থক্য স্বীকার করে নিয়ে তার নির্বিকার চিত্তে রাস্তা দিয়ে চলে। আমরা মাড়োয়ারী কিংবা পাঞ্জাবীর সঙ্গে লেনদেন করার সময় কিছুতেই ভুলতে পারি না যে, তারা বাঙালি নয়-দু'পয়সা লাভ করার পর কোনো পক্ষই অন্য পক্ষকে নেমন্তন করতে বাড়িতে নিয়ে খাওয়ানো তো দূরের কথা, হোটেলে ডেকে নেয়ার রেওয়াজ পর্যন্ত নেই। এখানে ব্যবসা- বাণিজ্যের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ অঙ্গাঅঙ্গি বিজড়িত।
স্বপ্নময় লোকযাত্রা। খাস কাবুলের বাসিন্দারা চিৎকার করে একে অন্যকে আল্লাহরসূলের ভয় দেখিয়ে সওদা করছে, বিদেশিরা খচ্চর গাধা ঘোড়ার পিঠে বসে ভাঙা ভাঙা ফারসিতে দরকার করছে, বুখরার বড় কারবারি ধীরে গম্ভীরে দোকানে .ঢুকে এমনভাবে আসন নিচ্ছেন যে, মনে হয় বাকি দিনটা ঐখানেই বেচাকেনা, চা-তামাক পান আর আহারাদি করে রাত্রে সরাইয়ে ফিরবেন- তাঁর পিছনে চাকর হুঁকো কল্কি সঙ্গে নিয়ে ঢুকছে। তারও পিছনে খচ্চর-বোঝাই বিদেশি কার্পেট।
আপনি উঠি উঠি করছিলেন, দোকানদার কিছুতেই ছাড়বে না। হয়ত মোটা রকমের ব্যবসা হবে, খোদা মেহেরবান ব্যবসা- বাণিজ্যের উপর রসূলেরও আশীর্বাদ রয়েছে, আপনারও যখন ভয়ংকর তাড়া নেই তখন দাওয়াতটা খেয়ে গেলেই পারেন।