সংক্ষেপে আব্দুর রহমানের পরিচয় দাও
সংক্ষেপে আবদুর রহমানের পরিচয় দাও
সংক্ষেপে আবদুর রহমানের পরিচয় দাও। |
উত্তর : সৈয়দ মুজতবা আলী কাবুল থেকে আড়াই মাইল দূরে খাজামোল্লা গ্রামে বাসা নেন। আবদুর রহমান লেখকের রান্নাবান্নার কাজে সহায়তা করতো।
তার শারীরিক গঠন ছিল অন্য আর পাঁচজন থেকে ভিন্ন। লেখক আবদুর রহমানের বিশাল আকৃতি দেখে তাকে নরদানব বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন :“কাবুল শহরে আমি দুটি নরদানব দেখেছি। তার একটি আবদুর রহমান-দ্বিতীয়টির কথা সময় এলে হবে।”লেখক আবদুর রহমানের উচ্চতা ফিতে দিয়ে মেপে দেখেছিলেন-ছ'ফুট চার ইঞ্চি।
উচ্চতা অনুযায়ী তার শারীরিক প্রশস্ততাও লক্ষ্য করার মতো। দুটি হাত হাঁটু পর্যন্ত নেমে এসে আঙুলগুলো দু'কাঁদি বর্তমান কলার মতো ঝুলছে। পা দুটি ডিঙি নৌকার সাইজ। কাঁধ দেখে মনে হয়, বাবুর্চি আবদুর রহমান না হয়ে সে যদি আমির আবদুর রহমান হতো তবে অনায়াসে গোটা আফগানিস্তানের ভার বইতে পারত।
এ কান ও কান জোড়া মুখ হাঁ করলে চওড়াচওড়ি কলা গিলতে পারে। এবড়ো-থেবড়ো নাক-কপাল নেই। রঙ ফর্সা, তবে শীতে গ্রীষ্মে চামড়া চিরে ফেঁড়ে গিয়ে আফগানিস্তানের রিলিফ ম্যাপের চেহারা ধরেছে।
দুই গাল কে যেন থাবড়া মেরে লাল করে দিয়েছে-কিন্তু কার এমন বুকের পাটা? পরনে শিলওয়ার, কুর্তা আর ওয়াসকিট। বিশালাকৃতির এ মানুষটিকে যে কেউ দেখলেই দানব বলে মনে করাটা খুবই স্বাভাবিক।