ইয়েটস রিপোর্টের সুপারিশমালা উল্লেখ কর | ইয়েটস রিপোর্টের সুপারিশগুলো তুলে ধর
ইয়েটস রিপোর্টের সুপারিশমালা উল্লেখ কর | ইয়েটস রিপোর্টের সুপারিশগুলো তুলে ধর
প্রশ্ন ২.১৮ | ইয়েটস রিপোর্টের সুপারিশমালা উল্লেখ কর।
অথবা, ইয়েটস রিপোর্টের সুপারিশগুলো তুলে ধর।
উত্তর ভূমিকা : আমেরিকায় প্রতিষ্ঠিত দরিদ্রাগার ও ত্রাণ সাহায্য কার্যক্রমে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের জন্য ম্যাসাচুসেটসের সাধারণ আদালত ১৮২১ সালে দরিদ্র সাহায্য কার্যক্রমে উদ্ভুত সমস্যা মোকাবিলা করে, সাহায্য ব্যবস্থার কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন । উক্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ১৮২৪ সালে জে. ভি. এন. ইয়েটস যে রিপোর্ট প্রকাশ করেন তাই ইয়েটস রিপোর্ট।
ইয়েটস রিপোর্টের সুপারিশমালা উল্লেখ কর ইয়েটস রিপোর্টের সুপারিশগুলো তুলে ধর |
• ইয়েটস রিপোর্টের সুপারিশমালা : ইয়েটস রিপোর্টের সুপারিশগুলো অত্যন্ত পরিকল্পিত ও সুচিন্তিত। ইয়েটস রিপোর্টের সুপারিশসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
১. প্রত্যেক কাউন্টির জন্য একটি কর্মসংস্থান কেন্দ্র স্থাপন করা। যা কৃষিকাজের জন্য খামার ব্যবস্থা ও শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করবে।
২. বাধ্যতামূলকভাবে কঠোর পরিশ্রম করানোর জন্য সক্ষম ভিক্ষুক ও ভবঘুরেদের জন্য শ্রমাগার ব্যবস্থা প্রচলন করা।
৩. হুইস্কি তৈরির কারখানায় অতিরিক্ত আবগারি শুল্ক ধার্য করার মাধ্যমে দরিদ্র ত্রাণ সাহায্য কার্যক্রমের তহবিল বৃদ্ধি করা।
৪. নিউইয়র্কের যেকোনো কাউন্টিতে এক বছর বসবাসের বিধান প্রবর্তন করে আইনগতভাবে বসতি স্থাপনের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা ।
৫. দরিদ্র আইনসংক্রান্ত বিষয়ে বহিষ্কার আদেশ ও আপিল পদ্ধতির বিলোপসাধন ।
৬. ১৮-৫০ বছর বয়সী কোনো সক্ষম পুরুষকে সাহায্যের তালিকায় না রাখা ।
৭. রাজ্যে দরিদ্রতা সৃষ্টিকারী ও রাস্তায় ভিক্ষা করা ভিক্ষুকদের শাস্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইয়েটস রিপোর্টের পরিকল্পিত ও সুচিন্তিত সুপারিশসমূহ আমেরিকার দরিদ্র সাহায্য ও ত্রাণ কার্যক্রমে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়। ইয়েটস রিপোর্টে বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক জটিলতা, আইনগত বাধা, কারাগারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, কাজ করার সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব, দরিদ্রদের প্রতি নির্মম আচরণ ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরা হয় ।