ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দানশীলতা কার্যক্রম সংক্ষেপে লেখ
ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দানশীলতা কার্যক্রম সংক্ষেপে লেখ
প্রশ্ন ২.০১ | ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দানশীলতা কার্যক্রম সংক্ষেপে লেখ।
অথবা, ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দানশীলতা কার্যক্রম উল্লেখ কর।
উত্তর ভূমিকা : আধুনিক পেশাগত সমাজকর্মের সূতিকাগার বলা হয় ইংল্যান্ডকে। ইংল্যান্ডের সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রমের সূত্রপাত দানশীলতা থেকে। ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দানশীলতা মূলত খ্রিস্টধর্মের মানবতাবাদী ও কল্যাণকামী দর্শন ও আদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হতো। ধর্মীয় অনুপ্রেরণা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সংগঠন ও আইনগত পদক্ষেপ ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দানশীলতা কার্যক্রমকে গতিশীল করেছে।
ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দানশীলতা কার্যক্রম সংক্ষেপে লেখ |
ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দানশীলতা কার্যক্রম : নিম্নে ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দানশীলতা কার্যক্রম উল্লেখ করা হলো—
১. খ্রিস্টধর্ম ও গির্জা : তৎকালীন ইংল্যান্ডসহ সারা ইউরোপে খ্রিস্টধর্মের জয়জয়কার ছিল। খ্রিস্টধর্মের অন্যতম দর্শন হচ্ছে নিঃস্বার্থভাবে আর্তের সেবা করা। খ্রিস্টধর্মে দানশীলতা অত্যন্ত পুণ্যের কাজ বর্ণনা করে দানশীলতাকে উৎসাহিত করা হয়। খ্রিস্টধর্মের মূল প্রার্থনালয় হচ্ছে গির্জা। খ্রিস্টানদের যাবতীয় দান কার্যক্রম গির্জার মাধ্যমে পরিচালিত হতো। গির্জার পাদরির নেতৃত্ব, উপদেশ ও পরামর্শের ভিত্তিতে দানশীলতা কার্যক্রম পরিচালিত হতো।
২. দরিদ্রদের শ্রেণিবিভাগ করা : প্রচলিত অসংগঠিত দানশীলতা কার্যক্রমকে সংগঠিত করে সুচারুভাবে পরিচালিত করার জন্য কতিপয় বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে দরিদ্রদের শ্রেণিবিভাগ করা হয়। দরিদ্রদের শারীরিক ক্ষমতা, বয়স, কাজ করার যোগ্যতা ইত্যাদির ভিত্তিতে এদের দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেক. সক্ষম দরিদ্র : যেসব দরিদ্র ব্যক্তি শারীরিক পরিশ্রম করতে সক্ষম তারাই সক্ষম দরিদ্র।
ক. সক্ষম দরিদ্র : যেসব দরিদ্র ব্যক্তি শারীরিক পরিশ্রম করতে সক্ষম তারাই সক্ষম দরিদ্র।
খ. অক্ষম দরিদ্র : যেসব দরিদ্র ব্যক্তির শারীরিক পরিশ্রম করার ক্ষমতা নেই তারাই অক্ষম দরিদ্র।
৩. গিল্ড সংঘ : ইংল্যান্ডের দানশীলতা কার্যক্রমে ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ হচ্ছে গিল্ড সংঘ। সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে ব্যবসায়ী ও ধনিক শ্রেণি কর্তৃক গড়ে ওঠে গিল্ড। পঞ্চদশ শতাব্দীতে গড়ে ওঠা গিল্ড অসহায়, অসুস্থ, দুস্থ, এতিম, বিধবা ও নির্ভরশীলদের সাহায্য করতো।
৪. আইনগত পদক্ষেপ ও দানশীলতা : মহামারি, দুর্ভিক্ষ, শ্রমিক সংকট ইত্যাদিতে দরিদ্ররা এক প্যারিশ থেকে অন্য প্যারিশে স্থানান্তরিত হতে থাকে। যা বিদ্যমান দানশীলতা কার্যক্রমকে অস্থিতিশীল ও বিশৃঙ্খল করে তুলে। এ অবস্থায় উল্লিখিত পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দানশীলতা কার্যক্রমে শৃঙ্খ
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজকর্ম পেশার সূচনা হয় মানবতাবাদী দর্শনে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিভিন্ন দানশীল কার্যক্রম থেকে। সমাজকল্যাণমূলক ব্যবস্থা বিকাশের প্রাথমিক যুগে ইংল্যান্ডের দানশীলতা কার্যক্রম ছিল অসংগঠিত ও বিশৃঙ্খল । ইংল্যান্ডের প্রাথমিক দানশীলতা কার্যক্রমকে গতিশীল ও বেগবান করতে খ্রিস্টধর্মের দর্শন, গির্জাভিত্তিক উদ্যোগ, গিল্ড ও আইনগত ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।লা ফিরিয়ে আনার জন্য কতিপয় আইন প্রণয়ন করা হয় ।মন-