বিভারিজ রিপোর্ট এর বৈশিষ্ট্য গুলো কি | বিভারিজ রিপোর্টের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর

বিভারিজ রিপোর্ট এর বৈশিষ্ট্য  গুলো কি | বিভারিজ রিপোর্টের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর

প্রশ্ন ২.১৩ | বিভারিজ রিপোর্টের বৈশিষ্ট্যগুলো কী? 

অথবা, বিভারিজ রিপোর্টের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর ।

উত্তর ভূমিকা : বিভারিজ রিপোর্টের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি একগুচ্ছ কল্যাণমূলক ব্যবস্থার সমষ্টি। বিভারিজ রিপোর্ট পূর্ববর্তী আইনসমূহের মতো শুধু দরিদ্রদের বা শ্রমিকদের ভরণপোষণের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করে না; এটি সমাজের সব শ্রেণির জন্য এবং সামগ্রিক কল্যাণের জন্য কার্যক্রম গ্রহণ করে । বিভারিজ রিপোর্ট প্রণীত হওয়ার পর ইংল্যান্ডসহ সারা বিশ্বের দরিদ্র কল্যাণ কার্যক্রমের চেহারা সম্পূর্ণ পাল্টে যায় ।● বিভারিজ রিপোর্টের বৈশিষ্ট্য : নিম্নে বিভারিজ রিপোর্টের বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করা হলো-

বিভারিজ রিপোর্টের বৈশিষ্ট্যগুলো কী  বিভারিজ রিপোর্টের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর
বিভারিজ রিপোর্টের বৈশিষ্ট্যগুলো কী  বিভারিজ রিপোর্টের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর

১. সবার জন্য কল্যাণমূলক ব্যবস্থা : বিভারিজ রিপোর্টে শুধু দরিদ্র ও শ্রমিকদের জন্য সেবা কার্যক্রম পরিচালিত করে না, সমাজে ধনী, গরিব সবার জন্য কল্যাণমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে। 

২. সামগ্রিক কল্যাণ নিশ্চিতকরণ : বিভারিজ রিপোর্টের সুপারিশ শুধু দারিদ্র্য সমস্যা মোকাবিলায় কাজ করে না। দারিদ্র্যের পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসা, স্বাস্থ্য, চিত্তবিনোদনের চাহিদা পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করে ।

৩. সরকারি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা : বিভারিজ রিপোর্টের সুপারিশে এটা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ ছিল অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সময় ব্যাপক বেকারত্ব রোধকল্পে সরকারিভাবে কর্মনিয়োগের ব্যবস্থা করা।

৪. সামাজিক নিরাপত্তা ধারণার বিকাশ : বিভারিজ রিপোর্টের সুপারিশের ভিত্তিতে প্রণীত ব্যাপকভিত্তিক কার্যক্রম সামাজিক নিরাপত্তা ধারণার বিকাশ ঘটায় ।

৫. সামাজিক বিমা কর্মসূচি : বিভারিজ রিপোর্ট সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এক

৬. সবার জন্য জনস্বাস্থ্য সেবা : বিভারিজ রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রণীত ১৯৪৬ সালের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা আইন অনুযায়ী সবার জন্য জনস্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হয়। সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে বিভারিজ রিপোর্টের ভূমিকা অত্যধিক ।

৭. কল্যাণমূলক ধারণার প্রবর্তন : পূর্ববর্তী আইনসমূহের দমন, নিপীড়ন ব্যবস্থার স্থলে বিভারিজ রিপোর্ট কতকগুলো কল্যাণমূলক কার্যক্রমের প্রবর্তন করে।

৮. জনগণকে শ্রেণিবিন্যাস করা : বিভারিজ রিপোর্ট দরিদ্র সাহায্য কার্যক্রম কার্যকরী ও লক্ষ্যমুখী করার জন্য সাহায্যপ্রার্থীদের ছয়টি ভাগে ভাগ করা হয় ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বিভারিজ রিপোর্ট শুধু দরিদ্র বা শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণের জন্য নয়, বরং ইংল্যান্ডের সব শ্রেণির প্রয়োজন পূরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করে। বিভারিজ রিপোর্ট বহুবিধ কল্যাণমুখী ও ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল একটি ব্যবস্থা। বিভারিজ রিপোর্টের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দারিদ্র্য সমস্যার স্থায়ী সমাধান দিতে সক্ষম হয়।টি একীভূত সর্বাত্মক ও পর্যাপ্ত সামাজিক বিমা কর্মসূচি প্রণয়ন করে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ