টেকসই উন্নয়নের নীতি কি। টেকসই উন্নয়নের জন্য কি কি নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে
টেকসই উন্নয়নের নীতি কি। টেকসই উন্নয়নের জন্য কি কি নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে |
টেকসই উন্নয়নের নীতি কি। টেকসই উন্নয়নের জন্য কি কি নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে
উত্তর : ভূমিকা : মানব জীবনযাত্রার মানের উন্নয়নের জন্য দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু সঞ্চিত প্রাকৃতিক সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে সেগুলোর অপচয় হয়।
তবে পৃথিবীতে খনিজ সম্পদ প্রায় নিঃশেষ হয়ে এসেছে এবং একই সাথে পার্থিক পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। এর সম্পদকে সচেতন হিসেবে ব্রান্টল্যান্ড কমিশনের বিবরণভিত্তিক স্থায়ী
টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে নিচে বর্ণিত নীতিগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে-
১. আমাদের পরিবেশের ভারসাম্যে সাথে মিল রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়ন : দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কারণে ফলে মানুষের আয় বৃদ্ধি পায় । জীবনে স্বাচ্ছন্দ আসে তার অন্তর্নিহিত গুণাবলি বিস্তার ঘটে।
কিন্তু দেশের এরূপ উন্নতির কারণে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নতি ব্যাহত করা যাবে না-। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা যাবে না।
২. পরিবেশ বা বাসতন্ত্র অবিকৃত রাখা : মানব সমাজের শান্তির জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রকৃতির উপর নির্ভর করতে হয় আমাদের কোনো দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নতির প্রথম শর্ত হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখা।
দেশের মানুষের অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য সামগ্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। অর্থনৈতিক ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকতে হবে আমাদেরকে। বাস্তুতন্ত্র প্রাণী বৈচিত্র্য ও জীবনদায়ী পরিবেশ পোষণ করতে এবং এদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
৩. বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মর উন্নতি নিশ্চিত করা : পরিবেশ ও অর্থনীতিক পরিচালনার পদ্ধতি এমন হবে যাতে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ মানব জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনে এবং সমাজের বর্তমান উন্নত জীবনযাত্রার মানের পাশাপাশি ভবিষ্যৎ জাতির জন্য অর্থনৈতিক প্রসার ঘটে 1
৪. প্রাকৃতিক ও সম্পদের সঠিক ও সুষম ব্যবহার করা : প্রাকৃতিক সম্পদ এবং ব্যবহার সঠিক ও সুষম করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে, সম্পদের যথেষ্ট ব্যবহার রোধ করতে হবে।
৫. দূষণযুক্ত পরিবেশ : দেশের বিভিন্ন কল-কারখানার কয়লা, পেট্রোলিয়াম ও অন্যান্য রাসায়নিক পদার্থ এবং শিল্পের বর্জ্য পদার্থ দ্বারা বায়ু, পানি ও মাটি ক্রমাগত দূষিত করা রোধ করে নির্মল পরিবেশ সৃষ্টি, দুরারোগ্য ব্যাধির আক্রমণ রোধ জন্মহার ও মৃত্যুহার হ্রাসের মাধ্যমে জনসংখ্যার বিস্ফোরণ রোধ, বন নিধন রোধ করতে হবে।
৬. দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন : দূরদৃষ্টির ভিত্তিতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে যাতে তার ফল বর্তমান প্রজন্মের পর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে।
৭. নতুন প্রযুক্তির প্রবর্তন : কাঁচামালের ব্যবহার থেকে পণ্য | উৎপাদন পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়ায় পরিবেশের কি ক্ষতি হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখে অবশ্যই উৎপাদনকারীকে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় যে, প্রয়োজনীয় গবেষণার মাধ্যমে নতুন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি ও প্রযুক্তি প্রয়োগ করে পরিবেশের গুণগত মান উন্নত করতে হবে।