পরিবেশের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি । পরিবেশের বৈশিষ্ট্যসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর
পরিবেশের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি । পরিবেশের বৈশিষ্ট্যসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর |
পরিবেশের বৈশিষ্ট্য গুলো কি কি । পরিবেশের বৈশিষ্ট্যসমূহ সংক্ষেপে আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : পাহাড়, বন, জঙ্গল, নদী, পানি, মাটি, বায়ু, মানুষ প্রভৃতি প্রকৃতির দানগুলো একসাথে মিলেমিশে তৈরি হয়েছে পরিবেশ।
পরিবেশ প্রত্যয়টি বর্তমান সভ্যতার একটি বহুল আলোচিত, পরিচিতি ও পরিমিত ইস্যু হিসেবে গণ্য হচ্ছে। মানবসভ্যতার অস্তিত্ব ও প্রয়োজনীয়তার জন্য পরিবেশ এবং এর উন্নয়ন নতুন মাত্রা পেয়েছে।
→ পরিবেশের বৈশিষ্ট্য : মানুষ ও তাকে ঘিরে সার্বক্ষণিক যে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিরাজমান সেই পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে সাধারণভাবে পরিবেশ বলে।
আমাদের চারপাশের পরিবেশকে প্রাকৃতিক ও অপ্রাকৃতিক এই দুভাগে ভাগ করা হয়েছে। নিম্নে এদের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হলো।
১. প্রাকৃতিক পরিবেশের বৈশিষ্ট্য :
(ক) প্রাকৃতিক পরিবেশের উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সদস্য বাস্তুসংস্থানিকভাবে আন্তঃসম্পর্ক বিশিষ্ট ।
(খ) উদ্ভিদ ও প্রাণী সম্প্রদায়ের স্বতন্ত্র প্রজাতিগুলোর গঠন, কাঠামো, বৃদ্ধি জৈবিক ও অজৈবিক পরিবেশের মধ্যে পারস্পরিক মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে গড়ে ওঠে।
(গ) প্রাকৃতিক পরিবেশের উদ্ভিদ সম্প্রদায় প্রাথমিক উৎপাদক ও স্বভোজী হয়।
(ঘ) প্রাকৃতি পরিবেশের প্রাণী সম্প্রদায় স্বভোজী ও পরজীবী উপাদানে গঠিত।
২. প্রাকৃতিক পরিবেশ : আমাদের পারিপার্শ্বের পরিবেশের মধ্যে দৃশ্য ও অদৃশ্য যেসমস্ত উপাদানকে মানুষ শ্রম ও মেধা দিয়ে নিজের প্রয়োজনে সৃষ্টি করে তাকে অপ্রাকৃতিক পরিবেশ বলে। এর বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে-
(ক) মানুষ প্রাকৃতিক জৈব ও অজৈব উপাদানের সমন্বয়ে সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রয়োজনে এই পরিবেশের সৃষ্টি করে ।
(খ) পরিবার, শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠান, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন আদান প্রদান শক্তি, অধিকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও বাসস্থান প্রভৃতির সমন্বয়ে অপ্রাকৃতির পরিবেশ গড়ে ওঠে 1
৩. এই পরিবেশের কার্য পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থায় যে সম্পদ এবং শক্তি ব্যয় হয় তার সিংহভাগ আসে প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে ।
৪. এই পরিবেশে যে একমুখী শক্তি ও সম্পদের প্রবাহ রয়েছে তা অনিবার্যভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, পরিবেশের জৈব ও অজৈব উপাদানগুলো পরস্পর মিশে গিয়ে এভাবে গড়ে তুলেছে এক ভিন্ন পরিবেশ।
এদের অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলো মানুষের জীবনপ্রণালি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । পরিবেশের সহায় সম্পদগুলোকে মানবজাতি তার নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন অনুশাসন দ্বারা ব্যবহার করে।