বিকেন্দ্রীকরণের উদ্দেশ্য বর্ণনা কর। বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আলোচনা কর
বিকেন্দ্রীকরণের উদ্দেশ্য বর্ণনা কর। বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আলোচনা কর |
বিকেন্দ্রীকরণের উদ্দেশ্য বর্ণনা কর। বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আলোচনা কর
উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক কল্যাণকর রাষ্ট্রব্যবস্থায় প্রশাসনিক- ক্ষমতা কেন্দ্র হতে প্রশাসন ব্যবস্থার নিম্নস্তরে হস্তান্তরকে বুঝায়। বিকেন্দ্রীকরণের অন্যতম লক্ষ্য হলো জনগণকে উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্তকরণ ।
বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য : নিম্নে বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আলোচনা করা হলো :
১. জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ : প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের অন্যতম লক্ষ্য হলো প্রশাসন ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রশাসন ব্যবস্থার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।
২. উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ : প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মূল উদ্দেশ্য হলো উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। কেননা জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন। সম্ভব নয়।
৩. প্রশাসনকে গতিশীল করে তোলা : গতিশীল প্রশাসন ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই বিকেন্দ্রীকরণের আশ্রয় নেওয়া হয়। বিকেন্দ্রীকরণ স্থানীয়ভাবে সমস্যার সমাধান করে বিধায় গতিশীল থাকে।
৪. স্থানীয় নেতৃত্বের বিকাশ : স্থানীয় নেতৃত্ব ছাড়া স্থানীয় সমস্যার গভীরে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। স্থানীয় সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করতে স্থানীয় নেতৃত্বের বিকাশ সাধন বিকেন্দ্রীকরণের অন্যতম লক্ষ্য ।
৫. স্থানীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতকরণ : বিকেন্দ্রীকরণের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় সমস্যার সমাধান করা।
৬. প্রশাসনিক ব্যবস্থার গতিশীলতা বৃদ্ধি : বিকেন্দ্রীকরণ প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের শুধু বিভাজনই করে না; বরং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের গতিশীলতা নিশ্চিত করে । উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের গতিকে ত্বরান্বিত করে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, দক্ষ ও উন্নয়নমুখী প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করাই বিকেন্দ্রীকরণের মূল উদ্দেশ্য। বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়া স্বৈরাচারিতা রোধ করে এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা বজায় রাখার মাধ্যমে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে।