দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলকথা কী । দ্বান্দ্বিক জড়বাদের মূলকথা কী
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলকথা কী । দ্বান্দ্বিক জড়বাদের মূলকথা কী |
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলকথা কী । দ্বান্দ্বিক জড়বাদের মূলকথা কী
উত্তর : ভূমিকা : শিল্পবিপ্লব থেকে উদ্ভূত সামাজিক সংগ্রাম থেকে দ্বান্দ্বিক জড়বাদের উদ্ভব ঘটে। প্রাকৃতিক জগৎ ও সমাজ সম্পর্কে মার্কসের দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি ও বস্তুবাদী সমন্বয় পরিলক্ষিত হয় বলে মার্কসের দর্শনকে স্বান্দ্বিক জড়বাদ বলা হয়।
দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলকথা : নিম্নে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলকথা আলোচনা করা হলো :
১. দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মূলকথা হলো জড়ই একমাত্র সত্তা। কাজেই জড়ের অস্তিত্ব মন বা আত্মা বা চেতনার উপর নয় বরং মনের সচল অস্তিত্বের উপর নির্ভরশীল।
২. দ্বান্দ্বিক প্রক্রিয়ায় যে কোন সমস্যা সমাধানের দিকে অগ্রসর এবং এখানে দ্বন্দ্ব বলতে চেতনার দ্বন্দ্ব নয় বরং চেতনার সাথে চেতনার দ্বন্দ্বের কথা বলা হয়েছে।
৩. দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের মতে, জড়ের স্বাভাবিক ধর্ম হলো গতি। গতি থেকে জড়ের সৃষ্ট নয়, বস্তু, মনপ্রাণ ইত্যাদি জাগতিক পদার্থ। এ তত্ত্ব মতে জড়ের দ্বান্দ্বিক গতি হলো জাগতিক পরিবর্তন।
৪. সচল জড়বাদের উপর প্রতিষ্ঠিত। বাস্তবের উপর এ মতবাদ অধিক গুরুত্বারোপ করে। মানুষ কোন দর্শন বা চিন্তাধারা দ্বারা পরিচালিত নয় বরং বাস্তব দ্বারা পরিচালিত ।
DIT NOU STOPP
৫. মার্কস ব্যক্তিকে সমাজের ক্রমোন্নতির মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করেন। ব্যক্তিরা একে অন্যের উপর এবং সমাজের উপর ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে গতি সৃষ্টি করে যা সমাজের পরিবর্তন ঘটায় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় বস্তুর অভ্যন্তরীণ ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে সমাজের যে পরিবর্তন সেটা জানতে গেলে আমাদের দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদ সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা বস্তুর সাথে বস্তুর দ্বন্দ্বের মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন ঘটে।