রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের সাথে নৃবিজ্ঞানের সম্পর্ক উল্লেখ কর
রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের সাথে নৃবিজ্ঞানের সম্পর্ক উল্লেখ কর |
রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের সাথে নৃবিজ্ঞানের সম্পর্ক উল্লেখ কর
উত্তর : ভূমিকা : রাজনৈতিক সমাজতত্ত্ব ও নৃবিজ্ঞান হলো দুটি অপেক্ষাকৃত আধুনিক বিজ্ঞান। আলোচ্য বিষয় দুটির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিশেষভাবে ঘনিষ্ঠ ।
রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের সাথে নৃবিজ্ঞানের সম্পর্ক : নিম্নে রাজনৈতিক সমাজতত্ত্ব ও নৃবিজ্ঞানের মধ্যে সম্পর্ক বিশ্লেষণ করা হলো :
১. উদ্দেশ্যগত সম্পর্ক : মানুষের সমগ্র জীবনধারার ইতিবৃত্ত হলো সামাজিক নৃবিজ্ঞানের আলোচনার অন্তর্ভুক্ত। অনুরূপভাবে সমাজবদ্ধ মানুষের সার্বিক আলোচনা হচ্ছে সমাজের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। এক্ষেত্রে নৃবিজ্ঞান ও রাজনৈতিক, সমাজতত্ত্বের মধ্যে গভীর সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয়।
২. সমগোত্রীয় সম্পর্ক : সামাজিক নৃতত্ত্বের গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্যবিষয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো প্রাগৈতিহাসিক যুগের আদিম মানুষের সমাজব্যবস্থা পারিবারিক গঠন বিন্যাস, সামাজিক আচার আচারণ ও অনুষ্ঠান প্রভৃতি । এক্ষেত্রে রাজনৈতিক নৃবিজ্ঞান ও রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের মধ্যে সম্পর্ক বিদ্যমান ।
৩. কেন্দ্রীয় বিষয়ের সম্পর্ক : নৃবিদ্যার কেন্দ্রীয় বিষয় হলো মানুষ। আবার বহুমানুষের সমন্বয়ে গঠিত হয় সমাজ। আর এ সমাজ হলো রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের মুখ্য আলোচ্যবিষয়। সুতরাং নৃবিজ্ঞান ও রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান।
৪. সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশ : মানুষের সভ্যতা ও সংস্কৃতির আদিম ব্যবস্থা থেকে আধুনিক পর্যায়ে উন্নত হয়েছে। এ উন্নয়নের একটি ধারাবাহিকতা আছে। বস্তুত সভ্যতার বিকাশ ও বিবর্তনে রাজনৈতিক সমাজতত্ত্ব ও নৃবিজ্ঞান ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
৫. উভয়ের নির্ভরশীলতা : রাজনৈতিক সমাজতত্ত্ব বিকাশে তেমন নৃবিজ্ঞানের সহায়তা নেয়া হয়। তেমনি নৃবিজ্ঞান রাজনৈতিক আচার, অনুষ্ঠান, সংস্কৃতি ও বিকাশে রাজনৈতিক সমাজতত্ত্বকে সহায়তা করে থাকে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রাজনৈতিক সমাজতত্ত্ব ও নৃবিজ্ঞান ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত এবং সমাজব্যবস্থায় একে অপরের পরিপূরক হিসেবে কাজ করে ।