নবাব সিরাজউদ্দৌলার ক্ষমতা লাভ সম্পর্কে আলোচনা কর
নবাব সিরাজউদ্দৌলার ক্ষমতা লাভ সম্পর্কে আলোচনা কর |
নবাব সিরাজউদ্দৌলার ক্ষমতা লাভ সম্পর্কে আলোচনা কর
- অথবা, নবাব সিরাজউদ্দৌলার ক্ষমতা লাভ সম্পর্কে ধারণা দাও।
উত্তর : ভূমিকা : নবাব আলীবর্দী খানের মৃত্যুর পর মাত্র ২৩ বৎসর বয়সে সিরাজউদ্দৌলা বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার মসনদে আরোহণ করেন।
মাতামহের অত্যধিক স্নেহে লালিত-পালিত হয়েছিলেন বলে বাস্তব জীবনের কুটিলতা ও রাজনৈতিক জটিলতা সম্বন্ধে তার বিশেষ জ্ঞান ছিল না। এজন্য সিংহাসনে আরোহণের পর তাকে অশেষ ঝামেলার মোকাবিলা করতে হয়।
→ ক্ষমতা লাভ : আলীবর্দী খান অপুত্রক ছিলেন। ফলশ্রুতিতে দৌহিত্র সিরাজউদ্দৌলাকে নিজ সন্তানের ন্যায় লালন-পালন করেন।
মাতামহের যত্নে সিরাজ শিক্ষা-দীক্ষা ও যুদ্ধবিদ্যায় অত্যন্ত পারদর্শী হয়ে ওঠেন এবং সময় সময় রাজকার্য পরিদর্শন করতে থাকেন।
নবাবের এ নিত্য সহচর অনেক যুদ্ধেও যোগদান করেন। মারাঠা বর্গিয় হামলার সময়ও সিরাজ তরবারি হাতে মাতামহের পাশে ছিলেন।
সুতরাং মৃত্যুর পূর্বেই তিনি তার কনিষ্ঠ কন্যার পুত্র সিরাজকে বাংলার পরবর্তী নবাব মনোনীত করে যান। ১৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ৯ এপ্রিল নবাব আলীবর্দী খানের মৃত্যু হলে তার দৌহিত্র সিরাজ বাংলার মসনদে আরোহণ করেন।
এ সময় তার বয়স ছিল প্রায় ২২ বৎসর। নবাব আলীবর্দী খানের অপর দুই জামাতাও তার মৃত্যুর পর মসনদ লাভের আশা পোষণ করতেন।
সুতরাং স্নেহ-যত্নে লালিত সিরাজকে নবাব আলীবর্দী খান পরবর্তী নবাব মনোনীত করলে নিকট আত্মীয়দের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাল্যকাল থেকে দূরদর্শিসম্পন্ন ছিলেন। তার সকল শিক্ষা-দীক্ষা সম্পর্কে জ্ঞান ছিল। নবাব আলীবর্দী খান তাই খুশি হয়ে তাকে বাংলার নবাব হিসেবে মনোনীত করেন।