মুর্শিদকুলি খানের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে যা জান লিখ

মুর্শিদকুলি খানের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে যা জান লিখ
মুর্শিদকুলি খানের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে যা জান লিখ

মুর্শিদকুলি খানের রাজধানী স্থানান্তর সম্পর্কে যা জান লিখ

উত্তর : ভূমিকা : মুর্শিদকুলি খান ছিলেন বাংলার প্রথম স্বাধীন নবাব। মুর্শিদকুলি খানের নবাব নিয়োগ বাংলার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। 

কার্যত এ সময় হতেই বাংলার সুবাদারগণ স্বাধীনভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করতে থাকেন। তিনি নবাবী বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

→ মুর্শিদকুলি খানের রাজধানী স্থানান্তর : মুর্শিদকুলি খান সিংহাসনে আরোহণ করেই প্রথম রাজধানী স্থানান্তরের পরিকল্পনা করেন। স্বীয় নিরাপত্তার জন্য মুর্শিদকুলি তার বাসস্থান ও দিওয়ান দপ্তর ঢাকা থেকে মকসুদাবাদে স্থানান্তরিত করেন। 

তিনি ১৭০২ সালে সম্রাটের অনুমতিক্রমে মকসুদাবাদের নাম পরিবর্তন করে মুর্শিদাবাদ রাখেন। মুর্শিদকুলি খানের সাফল্যের কারণে বাংলায় সুবাদার আজিমুশশান শত্রুতা আরম্ভ করেন। 

তিনি মুর্শিদকুলি খানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এ সময় সম্রাট আওরঙ্গজেব আজিমুদ্দিনকে ভৎসনা করেন এবং তাকে সতর্ক করে দিয়ে লিখেন যে মুর্শিদকুলি খানের যদি সামান্য ক্ষতি হয়, তাহলে আজিমকে এর জন্য কঠিন শাস্তি পেতে হবে। 

এর ফলে সুবাদার ও অন্যান্য কর্মচারী তার সাথে পূর্বের চেয়ে আরও ভদ্র ব্যবহার করতেন তা না হলে তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। ১৭০৩ সালে আজিমদ্দিন তার পুত্র ফররুখ শিয়ারকে ঢাকায় নায়েব সুবাদার রেখে তিনি পাটনা চলে যান।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মুর্শিদকুলি খান শাসক হিসেবে যথেষ্ট যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছেন। সামান্য অবস্থা থেকে মেধা ও যোগ্যতার বলে বাংলায় নবাবী শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। রাজধানী স্থানান্তর তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচায়ক। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ