মীর জাফর কে ছিলেন ৷ মীর জাফরের পরিচয় দাও
মীর জাফর কে ছিলেন ৷ মীর জাফরের পরিচয় দাও |
মীর জাফর কে ছিলেন ৷ মীর জাফরের পরিচয় দাও
উত্তর : ভূমিকা : বিশ্বের ইতিহাসে যে কয়েকজন ব্যক্তি মানবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ঘৃণিত হয়ে আছে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলো বাংলার ইতিহাসের মীর জাফর ।
মীর জাফর বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে বাংলার ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনব অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে।
→ মীর জাফর : মীর জাফর ছিলেন বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার প্রধান সেনাপতি। তার পুরো নাম মীর জাফর আলী খান। ১৬৯১ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
মীর জাফর নবাবের একজন মন্ত্রীও ছিলেন। সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার নবাব হওয়ার তিনি সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাই তিনি প্রধান সেনাপতি হয়েও সিরাজের বিপক্ষেই কাজ করেছেন।
তিনি গোপনে ইংরেজদের সাথে চুক্তি করেন এবং নবাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেন। ইংরেজরা তাকে নবাব হওয়ার লোভ দেখালে তিনি ১৭৫৭ সালের পলাশির প্রান্তরে নিষ্ক্রিয় ছিলেন এবং নবার বাহিনী যখন জয়ের মুখে তখন তিনি যুদ্ধ বন্ধের পরামর্শ দেয়।
ফলে নবাব বাহিনী পরাজিত হয় এবং মীর জাফর নবাব হয়। ১৭৬৫ সালের ১৭ জানুয়ারি তার মৃত্যু হয়।
→ মীর জাফর নামকরণ : তার আসল নাম হলো মীর মোঃ জাফর আলী খান। কিন্তু স্বজাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার দরুন তাকে সবাই মীর জাফর বলে ডাকে। কেউ এই নামের কারো নামকরণ করে না।
নবাবের ভুলসমূহ-
১. তার খালা ঘষেটি বেগমকে বন্দি করা;
২. শওকত জংকে পরাজিত ও নিহত করা;
৩. কলিকাতা পুনরুদ্ধারে ব্যবস্থা না করা;
৪. মীর জাফরের কপটতা মেনে নেয়া;
৫. মীর জাফরকে প্রধান সেনাপতি বানানো ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মীর জাফর নবাব সিরাজের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে একটি জঘন্য অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছিল। সেজন্য এখনো সবাই কোনো বিশ্বাসঘাতককে বাংলা ভাষায় “মীর জাফর” হিসেবে অভিহিত করে।
মীর জাফর কিছু সময়ের জন্য নবাব হলেও পরবর্তীতে সে ইংরেজদের হাতের পুতুল হয়ে যায় । পরে সেও করুণ পরিণতির স্বীকার হয়।