জৈবিক সংহতি কি । জৈবিক সংহতি বলতে কী বোঝো
জৈবিক সংহতি কি । জৈবিক সংহতি বলতে কী বোঝো |
জৈবিক সংহতি কি । জৈবিক সংহতি বলতে কী বোঝো
- অথবা, ডুর্খেইমের জৈবিক সংহতির ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : ভূমিকা : আধুনিক সমাজব্যবস্থায় শ্রমবিভাজন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ডুর্খেইম জৈবিক সংহতি তত্ত্বের অবতারণা করেন। এ তত্ত্বের মাধ্যমে বর্তমান শ্রমব্যবস্থা এবং এর পরিবর্তন সম্পর্কে আমরা স্পষ্ট ধারণা পেয়ে থাকি।
জৈবিক সংহতি : ডুর্খেইম এর মতে, আধুনিক শিল্পায়িত সমাজে যে ধরনের সংহতি দেখা যায় সেটি হলো জৈবিক সংহতি ।
এ জৈবিক সংহতির আবির্ভাব হয় শ্রমবিভাজন বৃদ্ধির সাথে এবং এ সংহতির কারণে আধুনিক সমাজ আরো জটিল রূপ ধারণ করে সামনের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে G Ritzer বলেছেন, "The more modern type characterise by organic solidarity has a much greater and more refined division of labour"
জৈবিক সংহতি হচ্ছে বৈসাদৃশ্যের মধ্যে ঐকমত্য। এখানে ব্যক্তিত্বে, ব্যক্তিত্বে চিন্তাচেতনা, আচার, আচরণ, রীতিনীতি, মূল্যবোধ ইত্যাদির মধ্যে তেমন কোন সাদৃশ্য নেই বরং এরা প্রত্যেকেই স্বতন্ত্র।
শ্রমবিভাজন বৃদ্ধির ফলে প্রত্যেক ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন ক্রিয়া সম্পাদন করে থাকে তবে এদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখে জৈবিক সংহতি।
Division of labour বৃদ্ধির ফলে কোন ক্রিয়া সম্পাদনে ব্যক্তি এবং দলের মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা আরো বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পায়।
জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলে এ ধরনের সংহতির সৃষ্টি হয়। তিনি জৈবিক সংহতিকে মানবদেহের সাথে তুলনা করেছেন।
মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন আলাদা আলাদা কাজ করে দেহকে সচল রাখে তেমনি সমাজের বিভিন্ন দল প্রতিষ্ঠান নিজ নিজ কার্যসম্পাদনের মাধ্যমে সমাজকে স্থিতিশীল রাখে ।
উপসংহার : পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, আধুনিক সমাজব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় কার্যসম্পাদনের জন্য জৈবিক সংহতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কেননা জৈবিক সংহতির মাধ্যমে বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে সমন্বয় সৃষ্টি হয়ে কাজকর্ম ত্বরান্বিত হয় ।