সিএনজি কিভাবে কাজ করে - How CNG works
সিএনজি কিভাবে কাজ করে |
অন্যান্য যানবাহনের মতো সিএনজিও এমন একটি যানবাহন যেটিকে অন্য দেশে অটোরিকশা বলা হয়। আমাদের দেশে অটোরিক্সা কে সিএনজি বলে সম্বোধন করা হয়। অনেকেই যাতায়াতের সুবিধার্থে সিএনজি ব্যবহার করে থাকেন।
আপনারা কি জানেন! CNG কিভাবে কাজ করে? চলুন তাহলে আজকের পোস্টের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক সিএনজি কীভাবে কাজ করে।
সিএনজি কিভাবে কাজ করে - How CNG works
সিএনজি এমন একটি বাহন যেটি দেখতে ভেতরে ও বাইরে পুরোটা সবুজ রংয়ের হয়ে থাকে। এতে রয়েছে টোটাল তিনটি চাকা। সামনের দিকে একটি চাকা এবং পিছনের দিকে দুটি চাকা রয়েছে। খেয়াল করলে দেখতে পারবেন রিক্সায় যেমন সামনের দিকে একটি চাকা এবং পিছনে দুটি চাকা থাকে ঠিক সিএনজিতেও তেমন।
সিএনজি একটি বড় যানবাহন। এর কিছু বিশেষ অংশ রয়েছে। যেমন- লেজার, রেডার, অ্যাকটুয়েটর, মটর ইত্যাদি।
সিএনজি এর হুইল ডিস্ক-
হুইল ডিস্ক হচ্ছে সিএনজির চাকার অংশ যারা সিএনজিকে সামনের দিকে পরিচালিত করতে সহায়তা করে। সাধারণত চাকাগুলো গোলাকার আকারের হয়ে থাকে। হুইল ডিস্কের উপরে টায়ার ও চাকার সংযোগ থাকে যা গাড়ির স্টিয়ারিং প্রভাবিত করে।
সিএনজি এর হুইল সিলিনডার-
সিলিন্ডার এমন একটি অংশ যা ইঞ্জিনের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। যদিও ইঞ্জিনের সাথে চাকার কোন সংযোগ নেই তবুও এটি সিএনজির ইঞ্জিনের শক্তি সংগ্রহ করে গাড়ি চালানোর জন্য হুইলে শক্তি পাঠানো হয়।
সিএনজি এর সিট-
সিএনজি এর সামনে একটি সিট রয়েছে যেখানে ড্রাইভার বসে সিএনজি পরিচালনা করে এবং পিছন দিকে প্যাসেঞ্জার দের বসার জন্য একটি মিডিয়াম বড় সাইজের সিট রয়েছে যেখানে সর্বনিম্ন তিন থেকে চার জন বসতে পারে।
সিএনজি এর ব্রেক-
সিএনজি কাজ করার জন্য ব্রেক একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মূলত সিএনজি প্রয়োজন অনুযায়ী কোন দিকে চালিত হবে ব্রেক সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
সিএনজি এর তিন ধরনের ব্রেক রয়েছে। যেমন-
- ডিস্ক ব্রেক
- ড্রাম ব্রেক
- অ্যান্টিলক ব্রেক
- গাড়ির চাকা যেন সড়কের সাথে ভালোভাবে সংযুক্ত হয়ে ঘুরতে পারে এজন্য ডিস্ক ব্রেক ব্যবহৃত হয়।
- অ্যান্টিলক ব্রেকিং সিস্টেম স্কিডিং বা স্লাইডিং প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
সিএনজি এর হ্যান্ডেল-
সিএনজি চালানোর জন্য সামনে দুটি হ্যান্ডেল থাকে। এই হ্যান্ডেলের সাথে সামনের দিকে প্রথম চাকার বিশেষ সংযোগ রয়েছে। সিএনজি চালানোর সময় স্টিয়ারিং এবং গিয়ারিং চেঞ্জ করার জন্য হ্যান্ডেল সিস্টেম কাজ করে।
সিএনজি এর দরজা-
সিএনজিতে ড্রাইভার যেখানে বসে সেখানে দু'পাশে দুটি দরজা রয়েছে। এছাড়াও পিছনে যেখানে প্যাসেঞ্জার বসে সেখানেও দুদিকে দুটি দরজা রয়েছে। যা পেসেঞ্জার এবং ড্রাইভার এর নিরাপত্তা সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। সিএনজির ড্রাইভার ও প্যাসেঞ্জারের দরজার দিকে লক সিস্টেম রয়েছে। লক সিস্টেম ব্যবহার করে তারা তাদের যাত্রা সুরক্ষিতভাবে সম্পন্ন করতে পারে।
সিএনজি এর মিটার-
- সিএনজি কাজ করার জন্য মিটার প্রয়োজন।সে মিটার গুলো হল-
- স্পিড মিটার
- রেভ কাউনটার মিটার
- ফিউয়েল মিটার
- তাপ নিয়ন্ত্রন মিটার
- স্পিড মিটার হলো এমন এক ধরনের মিটার যা সিএনজি চালানোর গতি প্রদর্শন করে থাকে।
- ফিউয়েল মিটার এমন মিটার যার মাধ্যমে বোঝা যায় সিএনজিতে কি পরিমাণ তেল আছে। সিএনজি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট এক ধরনের তেল প্রয়োজন যেই তেল ছাড়া সিএনজি কাজ করবে না।
- ইঞ্জিনে কি পরিমান তাপমাত্রা আছে এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আছে কিনা তা বোঝার জন্য তাপ নিয়ন্ত্রণ মিটার নির্দেশ প্রদান করে।
- রেভ কাউনটার মিটার মোটর ঘূর্ণনের পরিমাপ নির্দেশ করে।
পরিশেষে বলা যায় যে, আজকের এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে সিএনজি কিভাবে কাজ করে এই সম্পর্কে আপনাদের ধারণা ক্লিয়ার হতে পারে।