অন্ধকূপ হত্যা কি । অন্ধকূপ হত্যা বলতে কী বোঝায়
অন্ধকূপ হত্যা কি । অন্ধকূপ হত্যা বলতে কী বোঝায় |
অন্ধকূপ হত্যা কি । অন্ধকূপ হত্যা বলতে কী বোঝায়
- অথবা, 'অন্ধকূপ হত্যা' সম্বন্ধে ধারণা দাও ।
- অথবা, অন্ধকূপ হত্যাকাণ্ড কাকে বলে?
উত্তর : ভূমিকা : ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। পলাশির প্রান্তরে এই দিনে নবাব সিরাজ ও ইংরেজ বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পিছনে নানা কারণ ছিল।
কিছু কিছু কারণ মিথ্যা কোনো ঘটনাকে কেন্দ্র করেও এসেছিল। যার ফলে পলাশির যুদ্ধের ক্ষেত্র ত্বরান্বিত হয়। এ রকম একটি মিথ্যা ও অযৌক্তিক কারণ হলো অন্ধকূপ হত্যা।
→ অন্ধকূপ হত্যা : ইংরেজরা যুদ্ধ করার জন্য নানা অজুহাত খুঁজেছিল। ফলে ইংরেজ ঐতিহাসিক হলোওয়েল একটি মিথ্যা। কাহিনি রচনা করেন।
যাতে করে ইংরেজরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে কথিত আছে যে, ১৪৬ জন ইংরেজ বন্দিকে একটি ক্ষুদ্র কক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল ।
কক্ষটির আয়তন ছিল ১৮' ×১৪' – ১০'। এতটুকু কক্ষে ১৪৬ জনের মধ্যে ১২৩ জন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। এই ঘটনাই হলো ইতিহাসে “অন্ধকূপ হত্যা” বা Black Hole Tragedy নামে পরিচিত।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ১৪৬ জনকে এতোটুকু কক্ষে রাখা অসম্ভব। সিরাজ-উদ-দৌলার চরিত্রকে কলঙ্কিত করার জন্য অন্ধকূপ হত্যা নামে মিথ্যা কাহিনি রচনা করা হয়।
ঐতিহাসিক অক্ষয় কুমার মৈত্র তার প্রণীত গ্রন্থে বলেছেন যে, “অন্ধকূপ হত্যার কাহিনি সম্পূর্ণ কাল্পনিক এবং এটা হলওয়েলের উর্বর মস্তিষ্ক প্রসূত বানোয়াট কাহিনি ছাড়া আর কিছুই নয়।”
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ইংরেজরা নানাভাবে নবাব সিরাজের চরিত্র কলঙ্কিত করতে চেয়েছিল এবং বিভিন্ন পদ্ধতিও অনুসরণ করেছিল। এই অন্ধকূপ হত্যা নামক কাহিনির ফলে পলাশির যুদ্ধের ক্ষেত্র দ্রুত ত্বরান্বিত হয়।