আলীবর্দী খান কিভাবে বাংলার সিংহাসন দখল করেন
আলীবর্দী খান কীভাবে বাংলার সিংহাসন দখল করেন |
আলীবর্দী খান কীভাবে বাংলার সিংহাসন দখল করেন
- অথবা, আলীবর্দী খান কীভাবে বাংলার মসনদ দখল করেন?
উত্তর : ভূমিকা : একজন বৈদেশিক ভাগ্যান্বেষী ছিলেন আলীবর্দী খান। নবাব আলীবর্দী খান ছিলেন একজন দক্ষ সমরকুশলী, জ্ঞানী, ধর্মপরায়ণ, বিচক্ষণ এবং অন্যান্য বহু গুণে গুণান্বিত। নবাব আলীবর্দী খান ছিলেন দক্ষ সেনাপতি, বীরসেনা এবং নিপুণ রণকৌশলী ।
→ আলীবর্দী খান যেভাবে বাংলার মসনদ লাভ করেন : আলীবর্দী খান ছিলেন অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন। নিঃস্ব অবস্থায় ভাগ্যান্বেষণে বাংলায় এসে ৪০ বছর বয়সে তিনি মাত্র ১০০ টাকা বেতনে রাজস্ব বিভাগে চাকরি নেন।
১৭৩৩ সালে আলীবর্দী খান বিহারের সরকারি শাসনকর্তা হন। আলীবর্দী খান বিহারের স্বেচ্ছাচারী জমিদারদের কঠোর হস্তে দমন করেন।
সুজাউদ্দিন মির্জা মুহম্মদ আমির কাজে সন্তুষ্ট হয়ে তাকে রাজমহলের ফৌজদার হিসেবে নিযুক্ত করেন এবং আলীবর্দী খান উপাধিতে ভূষিত করেন।
সুজাউদ্দিনের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র সরফরাজ খাঁ বাংলার সিংহাসনে বসেন। সরফরাজ খাঁ দুর্বল শাসক ছিলেন। এই সুযোগে আলীবর্দী খাঁ ও হাজী আহমদ মসনদ দখলের ষড়যন্ত্র করেন।
আলীবর্দী খাঁ মসনদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিজের দলে নেন। এছাড়া দিল্লির সম্রাটের সাথে চুক্তি করেন। এতে সরফরাজের সাথে যুদ্ধ বাধে।
মুর্শিদাবাদের ২২ মাইল উত্তর পশ্চিমে সিরিয়া নামক স্থানে ১৭৪০ সালের ৯ মে যুদ্ধে সরফরাজ পরাজিত ও নিহত হন।
যুদ্ধের পর আলীবর্দী খান বাংলার মসনদে আরোহণ করেন। এভাবেই আলীবর্দী খান বাংলায় মসনদ দখল করেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, নবাব আলীবর্দী খান শাসক হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তাঁর সুশাসনে বাংলা ঐশ্বর্যশালী হয়ে উঠেছিল।
তিনি বাংলার রাজশক্তিকে পতনের মুখ থেকে রক্ষা করেন । বাংলাকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্রে পরিণত করেন।