শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের সময়ে বাংলার উদ্ভব সম্পর্কে আলোচনা কর

শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের সময়ে বাংলার উদ্ভব সম্পর্কে আলোচনা কর
শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের সময়ে বাংলার উদ্ভব সম্পর্কে আলোচনা কর

শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের সময়ে বাংলার উদ্ভব সম্পর্কে আলোচনা কর

  • অথবা, শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহের সময়ে বাংলার উদ্ভব উল্লেখ কর।

উত্তর : ভূমিকা : বাংলায় একটি স্বাধীন সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার ইতিহাসে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছেন। 

ইলিয়াস শাহী একমাত্র মুসলিম শাসক যিনি সমগ্র বাংলাকে একত্রিত করার গৌরব অর্জন করেন। সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ একজন শ্রেষ্ঠ সুলতান ছিলেন। 

এজন্য ঐতিহাসিকগণ তাকে শাহ-ই বাঙ্গালাহ শাই বাঙ্গালীয়ান এবং সুলতান ই বাদসাহ উপাধি ভূষিত করেন। তিনি সমগ্র বাংলাকে একত্রিত করে বাংলার উদ্ভব ঘটান।

→ ইলিয়াস শাহের আমলে বাংলার উদ্ভব : ইলিয়াস শাহ স্বীয় যোগ্যতা ও দক্ষতার জন্য সামান্য অবস্থান থেকে যে বংশ প্রতিষ্ঠা করেন তা ইলিয়াস শাহী বংশে নামে পরিচিত। 

তিনি সিংহাসনে আরোহণ করেই রাজ্য সম্প্রসারণে মনোনিবেশ করেন। তার রাজ্য জয়ের প্রথম প্রয়াস হিসেবে সাতগাঁও জয় করেন। 

ইলিয়াস শাহ ১৩৫২ সালে বখতিয়ার উদ্দিন গাজি শাহের নিকট থেকে সোনারগাঁও জয় করেন। সোনারগাঁও জয় করার ফলে ইলিয়াস শাহ সমগ্র বাংলার অধিপতি হন যা পূর্বে কোনো সুলতানের পক্ষে সম্ভব হয়নি। 

এ কারণে ঐতিহাসিক শামস-ই-সিরাজ আফীফ ইলিয়াস শাহকে শাহ-ই-বাঙ্গালাহ উপাধিতে ভূষিত করেন। আর এসময় হতে শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলার উদ্ভব ঘটান ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহকে বাংলার ইতিহাসে প্রথম জাতীয়তাবাদের স্রষ্টা হিসেবে অভিহিত করা হয়। 

তার রাজত্বকালেই বাঙালিরা এক সতন্ত্র জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে । বাংলার ইতিহাসে তার অবদান অপরিসীম। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ