রামপালের কৃতিত্ব আলোচনা কর । শাসক হিসেবে রামপালের অবদান মূল্যায়ন কর
রামপালের কৃতিত্ব আলোচনা কর । শাসক হিসেবে রামপালের অবদান মূল্যায়ন কর |
রামপালের কৃতিত্ব আলোচনা কর । শাসক হিসেবে রামপালের অবদান মূল্যায়ন কর
- অথবা, রামচরিতের আলোকের রাজা রামপালের কৃতিত্ব সংক্ষেপে আলোচনা কর ।
উত্তর : ভূমিকা : রামপাল পালবংশের অন্যতম রাজা ছিলেন তিনি যেমনি যোগ্য তেমনি দক্ষ ছিলেন যখন তার পিতৃভূমি বরেন্দ্র দিব কর্তৃক দখল হয়ে যায় তখন তিনি বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার করে পালবংশের গৌরব ফিরিয়ে আনে।
→ রামপালের কৃতিত্ব : রামপালের কৃতিত্ব নিম্নে আলোচনা করা হলো :
১. শান্তি প্রতিষ্ঠা : রামপাল ক্ষমতায় আরোহণ করে সাম্রাজ্যে শাস্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেন। কৃষির উন্নয়ন ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে রামপাল ভূমিকা রাখেন। এভাবে তিনি রাজ্যে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন।
২. বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার : রামপাল ক্ষমতায় আরোহণ করার পর তিনি বরেন্দ্র উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। শক্তি সঞ্চয় করে সামন্তদের হাত করে ছলে বলে কৌশলে সামন্ত রাজাদেরকে তাকে সহায়তার জন্য বলা হয় এবং সামন্ত রাজারা তাকে সহায়তা দেওয়ার কথা বলে এবং সহায়তা করে।
ফলে রামপাল দিব্যকের ছেলে ভীমের কাছ থেকে বরেন্দ্র উদ্ধার করে। পিতৃভূমি উদ্ধার করে এবং পালবংশের গৌরব ফিরিয়ে আনে।
৩. রাজধানী স্থাপন : রামপাল তার সাম্রাজ্য শৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য রাজধানী স্থানান্তর করেন “মায়াবতী” নামক স্থানে। সেখান থেকেই তার রাজ্য পরিচালিত হতো। এমনকি রাজধানীকে তিনি এমনভাবে পরিপাটি করেন তাতে আভিজাত্যের এটা প্রমাণ পাওয়া যায়।
৪. রাজ্য জয় : রামপাল ক্ষমতায় আরোহণের পর প্রচুর শক্তি সঞ্চয় করে। পালদের হারানো রাজ্য তিনি ফিরিয়ে আনেন এবং নতুন রাজ্য জয় করে শাসন করেন। এ সময় অনেক রাজ্যের শাসক তাকে ভয় করে তার আনুগত্য স্বীকার করতে বাধ্য হয়।
৫. মিষ্টিভাষী : রামপাল কর্কশ ছিলেন না। তিনি মিষ্টি ভাষায় যে কাউকে ভুলাতে পারতেন। তার স্বার্থ তিনি মিষ্টি ভাষায় হাসিল করতে পারত । তার দেয়া কথায় অনেকে তার প্রতি আকৃষ্ট হয় ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রামপাল এমন একজন যোগ্য শাসক ছিলেন তিনি রাজক্ষমতায় বসার পর সাম্রাজ্যে যেসব বিশৃঙ্খলা ছিল তা আর মাথা চাড়া দিয়ে উঠেনি। বিরোধী শক্তিগুলো তার সাথে মিত্রতা করতে থাকে। তবে চরিত্রে ভালো সব গুণই ছিল ।