রামপাল কিভাবে বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার করেন
রামপাল কিভাবে বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার করেন |
রামপাল কিভাবে বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার করেন
- অথবা, রামপাল কর্তৃক বরেন্দ্র শান্তি প্রতিষ্ঠার বর্ণনা কর।
- অথবা, উত্তর বাংলা পুনরুদ্ধারের রামপালের অবদান/কৃতিত্ব লেখ ।
উত্তর : ভূমিকা : পালবংশের ৪০০ বছরের শাসন ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবের। কিন্তু শেষ দিকে পাল শাসকরা সে গৌরব আর ধরে রাখতে পারেনি।
দ্বিতীয় মহীপালকে পরাজিত করে দিব্যক বরেন্দ্র দখল করে আর রামপাল ক্ষমতায় এসে পুনরায় বরেন্দ্র অধিকার করে। পালবংশের ইতিহাসে তা অত্যন্ত গৌরবের এবং সম্মানের বিষয়।
→ রামপালের বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার : রামপাল ক্ষমতায় আরোহণ করার পর পালবংশের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করেন। তিনি অনেক রাজ্য জয় করেন এবং পালবংশের অনেক হারানো রাজ্য ফিরিয়ে আনেন।
যেসব রাজ্য/ এলাকা তিনি ফিরিয়ে আনেন তার মধ্যে বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার অন্যতম। রামপাল ক্ষমতায় আরোহণের পর শক্তি সঞ্চয় করে।
তার সামরিক বাহিনীতে দক্ষ সৈনিক নিয়োগ এবং তাদের প্রশিক্ষণ দান করেন। রামপাল যখন বরেন্দ্র আক্রমণ করেন তখন বরেন্দ্রের রাজা ছিল দিব্যর পুত্র ভীম।
রামপাল সম্ভবত দক্ষিণ থেকে বরেন্দ্র আক্রমণ করে। রামপাল বরেন্দ্র আগমন করলে উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয়। তুমুল যুদ্ধের একপর্যায়ে কৌশলী রামপাল ভীমকে বন্দি করে।
সৈন্য বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কিন্তু ভীমের নিকট তার সৈন্যদের সংগঠিত করে যুদ্ধের ময়দানে এগিয়ে যায় কৌশলী রামপাল উপঢৌকন দিয়ে হরিকে হাত করে। এভাবে রামপাল বরেন্দ্র পুনরুদ্ধার করে পালবংশের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, রামপাল একজন সফল সেনানায়ক ছিল, যার কারণে তিনি অতি সহজে বরেন্দ্র উদ্ধার করতে সক্ষম হন। এটা তার শৌর্যবীর্য, বুদ্ধিমাত্রা ও কূটকৌশলতার পরিচয় বহন করে।