পালবংশের পরিচয় দাও । পালবংশের উদ্ভব ঘটে কীভাবে
পালবংশের পরিচয় দাও । পালবংশের উদ্ভব ঘটে কীভাবে |
পালবংশের পরিচয় দাও । পালবংশের উদ্ভব ঘটে কীভাবে
- অথবা, বাংলায় পালবংশ প্রতিষ্ঠার পটভূমি/ প্রেক্ষাপট বর্ণনা কর ।
উত্তর : ভূমিকা : যখন বাংলায় শশাঙ্কের মৃত্যু হয় তখন বাংলার অবস্থা অনেক অরাজকতাপূর্ণ ছিল। আর সে সময় পালবংশ প্রতিষ্ঠা বাংলার ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে গোপাল প্রতিষ্ঠা করে পালবংশ। নিচে পালবংশের উদ্ভব সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
→ পালবংশের উদ্ভব/উৎপত্তি : উৎস ইতিহাস রচনা বা জানার অন্যতম উপায়। আজকের মতো তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার ব্যবস্থা বা সময় ছিল না। থাকলেও সে উৎসের কি প্রয়োজন মানুষ যেমন তা উপলব্ধি করতে জানত না।
যার কারণে প্রাচীন বাংলা সম্বন্ধে জানার যেমন কোনো উৎস আমাদের হাতে নেই আর যা আছে তা প্রাচীন বাংলা সম্পর্কে জানার জন্য পর্যাপ্ত নয়।
পালবংশের উদ্ভব সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। আর পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল সম্পর্কেও তেমন কোনোকিছু জানা যায় নি যতটুকু জানা গেছে গোপালের বাবা বপ্যট একজন সামরিক শক্তি সম্পন্ন ব্যক্তি ছিলেন।
তিনি যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী। ছিলেন তাকে বলা হতো শত্রু ধ্বংসকারী এবং তার পিতামহ দায়িত্ববিষ্ণু ছিলেন সর্ববিদ্যায় বিশুদ্ধ। পিতার মতো গোপাল ছিলেন যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী।
শত্রুকে পরাজিত করার মতো তার শক্তি বা সামর্থ্য ছিল। আর বাংলার অরাজকতা অবসান করার জন্য গোপালের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল সমরবিদ্যা।আর গোপালের তা পর্যাপ্তই ছিল।
তিনি রাজক্ষমতায় বসে তবে রাজ্য জনগণের সহায়তায় এসব শত্রুদের পরাজিত করে আস্তে-আস্তে ব্যাপক ক্ষমতার মালিক হন। আর এ জন্য তাকে জনসমর্থন এনে দেয়। এ জনসমর্থনের ফলে গোপাল প্রতিষ্ঠা করে পালবংশ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে গোপাল একজন দক্ষ শাসক ছিলেন। আর বাংলায় এ অরাজকতাপূর্ণ অবস্থায় তার মতো সমরবিদ্যা খুবই প্রয়োজন ছিল। যার জন্য গোপাল পাল বংশ প্রতিষ্ঠা করতে সাহস, সমর্থন পান এবং পালবংশ প্রতিষ্ঠা করেন।