মুঘল শাসনামল সম্পর্কে পর্যটকগণ তাঁদের ভ্রমণ কাহিনিতে কি লিখেছেন
মুঘল শাসনামল সম্পর্কে পর্যটকগণ তাঁদের ভ্রমণ কাহিনিতে কি লিখেছেন |
মুঘল শাসনামল সম্পর্কে পর্যটকগণ তাঁদের ভ্রমণ কাহিনিতে কি লিখেছেন
- অথবা, মধ্যযুগে ইতিহাসের উৎস হিসেবে মুখল শাসনামলে পর্যটকদের অবদান উল্লেখ কর।
- অথবা, মুঘল শাসনামলে মধ্যযুগের ইতিহাসের উৎস হিসেবে বিদেশি পর্যটকদের বর্ণনাসমূহ লিখ ।
উত্তর : ভূমিকা : মধ্যযুগে ইতিহাস চর্চার প্রসার খুব বেশি ছিল না। তবে সুলতানি শাসকদের তুলনায় মুঘলরা উন্নত ছিল। মুঘল আমলে অনেক শাসক সংস্কৃতিমনা ও ঐতিহাসিক মনোভাবাপন্ন ছিলেন।
তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক পর্যটক এদেশে আসেন। দীর্ঘদিন অবস্থান করে এদেশে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে পর্যালোচনা করে মূল্যবান তথ্য রেখে যান ।
→ মুঘল আমল সম্পর্কিত পর্যটকদের বিবরণী : ইউরোপীয় পর্যটকদের ভ্রমণকাহিনি ভারতে মুঘল আমলের মুসলিম শাসন ব্যবস্থার ইতিহাস রচনার একটি প্রয়োজনীয় উৎস।
এ সময়কার পর্যটকদের বর্ণনা হতে তৎকালীন বাংলার সম্পর্কেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়। ইংরেজ, ওলন্দাজ, ইতালীয়, পর্তুগিজ পরিব্রাজকগণ মুঘল আমলে বিভিন্ন সময় ভারত ভ্রমণ করে মূল্যবান গ্রন্থাদি লিপিবদ্ধ করে গেছেন।
তারা সম্রাট, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজদরবার, শহর ও নগরের গুরুত্বপূর্ণ বর্ণনা দিয়েছেন। কিন্তু এ তথ্যগুলোর ঐতিহাসিক সত্যতা সর্বক্ষেত্রে পাওয়া যায় না।
আকবরের শাসনামলে ফাদার মনসারেট; জাহাঙ্গীরের আমলে হকিন্স, টমাস রো, এডওয়ার্ড টেরী, দ্যালিট, পেল সারিট এবং শাহজাহানের রাজত্বকালের শেষ দিকের বার্মিয়ান প্রমুখ পর্যটকদের ভ্রমণকাহিনি বিশেষ প্রশংসনীয় ।
উপসংহার : পরিশেষে একথা বলা যায় যে, তৎকালীন সময়ের ইতিহাসের উৎস হিসেবে পর্যটকদের বর্ণনা গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান ধরে রেখেছে।
অপ্রতুল ইতিহাসের উৎসের মধ্যে পর্যটকদের বর্ণনা অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিশেষ। যা মুঘল শাসনামলের ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।