মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসের উৎস হিসেবে চীনা বিবরণের গুরুত্ব তুলে ধর

মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসের উৎস হিসেবে চীনা বিবরণের গুরুত্ব তুলে ধর
মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসের উৎস হিসেবে চীনা বিবরণের গুরুত্ব তুলে ধর

মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাসের উৎস হিসেবে চীনা বিবরণের গুরুত্ব তুলে ধর

  • অথবা, মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস রচনায় চীনা বিবরণ কতটা ভূমিকা রাখে?

উত্তর : ভূমিকা : মধ্যযুগে অন্যান্য বিদেশি পর্যটকদের মতো অনেক চীনা পর্যটকও বাংলা ভ্রমণ করেন। তৎকালীন সময়ে চীন। বাংলার সুসম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। চীনা লেখকদের বর্ণনায় বাংলার কিছু তথ্য জানা যায় ।

→ মধ্যযুগের ঐতিহাসিক উৎস হিসেবে চৈনিক বিবরণ : বাংলার স্বাধীন সুলতানদের আমলে চীনের সঙ্গে বাংলার চমৎকার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। ফলে চীনের সঙ্গে বাংলার দূত বিনিময় ছিল অব্যাহত পথ। 

এ ধরনের চীনা দূত বা তাদের উত্তরপুরুষরা যে সমস্ত বিবরণ লিপিবদ্ধ করেন তাদের মধ্যদিয়ে সর্বভারত না হলেও সমকালীন বাংলার রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনের সরস ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। 

এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংকলনসমূহ হচ্ছে ১৪২৫-১৪৩২ সালের মধ্যে চৈনিক দূতের দোভাষী মাহুয়ান কর্তৃক সংকলিত ইং-ইয়াং- শেং-লাং, ১৪৩৬ সালে ফেইসিন কর্তৃক সংকলিত সিং-ছা-ছেং- লাং, ১৫২০ সালে হুয়ান সিং ছেং কর্তৃক সংকলিত ‘সিং ইয়াং চাও কুং তিয়েন লু', ১৫৭৪ সালে ইয়েন সং কিয়েন কর্তৃক সংকলিত ‘শেন-ইউ-ছান সেন লু', ১৭৩৯ সালে সরকারিভাবে সংকলিত হয় ‘সিং সি' নামের গ্রন্থটি।

উপরিউক্ত গ্রন্থগুলো বাংলার অনেক ইতিহাস বহন করে।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার পরিশেষে বলা যায় যে, ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে কোন উৎসকেই অবহেলা করা ঠিক না। ইতিহাস রচনায় চীনা লেখক ও পর্যটকদের বিবরণীও সমান গুরুত্ব বহন করে চলেছে। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
আরও পড়ুনঃ
আরও পড়ুনঃ