মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে তবাকাত ই নাসিরী গ্রন্থের মূল্য সংক্ষেপে আলোচনা কর
মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে তবাকাত ই নাসিরী গ্রন্থের মূল্য সংক্ষেপে আলোচনা কর |
মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে তবাকাত ই নাসিরী গ্রন্থের মূল্য সংক্ষেপে আলোচনা কর
- অথবা, "মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে তবাকাত-ই-নাসিরী অন্যতম উৎস।” টীকা লিখ।
- অথবা, মধ্যযুগে সুলতানি আমলে বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে লিখিত উৎস হিসেবে “তবাকাত-ই- নাসিরী” গ্রন্থটির ভূমিকা মূল্যায়ন কর।
উত্তর : ভূমিকা : সঠিক ও পর্যাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ইতিহাসের ভিত্তি সুদৃঢ় ও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু সুলতানি শাসনামলে বাংলায় প্রয়োজনীয় ইতিহাস চর্চা হয়নি।
মধ্যযুগে কোন মুঘলমান ঐতিহাসিক ধারাবাহিক ইতিহাস চর্চা করেননি। তবে প্রাক্ মুঘল যুগে এবং সে যুগের লেখকগণের বর্ণনায় তৎকালীন ঐতিহাসিক নিদর্শনসমূহে বাংলার কিছু বর্ণনা ও নিদর্শন পাওয়া যায়। বাংলার ইতিহাসের বিভিন্ন উপাদান-সংবলিত তেমন একটি গ্রন্থ হচ্ছে তবাকাত-ই-নাসিরী।
মধ্যযুগে বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে তাকাত-ই-নাসিরী : মিনহাজ-ই-সিরাজ তবাকাত-ই-নাসিরী গ্রন্থটি ১২৬০ সালে শেষ করেন। এটি ফারসি ভাষায় লিখিত। দিল্লির সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদের শাসনামলে লিখিত এ গ্রন্থ।
এটি ২৩ খণ্ড সংবলিত। “তবাকাত-ই-নাসিরী' অর্থ : নাসিরীর স্তরসমূহ। মিনহাজ-ই- সিরাজ ১২৪২-১২৪৪ সালে বাংলা পরিদর্শন করেছিলেন।
বাংলার গভর্নর মালিক ইওজউদ্দিন তুঘল খা তুঘান খানের উড়িষ্যা অভিযানের সময় মিনহাজ সঙ্গে ছিলেন। এসময় বাংলা সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্যসংগ্রহ করেছিলেন।
মিনহাজ সিরাজ-তার তাকাতে বাংলার খলজি শাসকদের বিশেষ উল্লেখ করেন । তবে একই সামগ্রিক ভাগে দিল্লিকেন্দ্রিক ছিল।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, ঐতিহাসিক গ্রন্থ হিসেবে তবাকাত-ই-নাসিরী আজও সুলতানি যুগের সমগ্র ইতিহাস গ্রন্থসমূহের নেতৃত্ব দান করছে।
মধ্যযুগীয় ইতিহাস পুনর্গঠনে তাকাতের অবদান অপরিসীম। এ গ্রন্থ হতে সুলতানি শাসনামল বাংলার কিছু তথ্য পাওয়া যায়।
সমসাময়িক সুলতানি শাসনামল সম্পর্কে আমরা মৌলিক কোনো রচনা পায়নি বললেই চলে। সুতরাং তবাকাত-ই-নাসিরী গ্রন্থটির ঐতিহাসিক মূল্য অনবদ্য।