কোন কোন উৎস থেকে আমরা চন্দ্রবংশ সম্পর্কে জানতে পারি
কোন কোন উৎস থেকে আমরা চন্দ্রবংশ সম্পর্কে জানতে পারি |
কোন কোন উৎস থেকে আমরা চন্দ্রবংশ সম্পর্কে জানতে পারি
উত্তর : ভূমিকা : ইতিহাস অনুসন্ধানে উৎসের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা এ সকল উৎসের উপর নির্ভর করেই আমরা অতীত সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করে থাকি।
দক্ষিণ -পূর্ব বাংলার এ শক্তিশালী রাজবংশের অস্তিত্ব সম্বন্ধে পূর্বে কোনো ধারণা ছিল না। কিন্তু পরবর্তীকালে এ বংশের কয়েকখানি তাম্রশাসন উৎকলনের মাধ্যমে আমরা এই রাজবংশ সম্পর্কে কিছুটা জানার সুযোগ পেয়েছি।
→ চন্দ্রবংশ সম্পর্কে জানার উৎসসমূহ : প্রাপ্ত তাম্রশাসনসমূহ থেকে চন্দ্রবংশের ইতিহাস পুনর্গঠন সম্ভব হয়েছে। সেগুলোর- প্রাপ্তিস্থান হলো :
১. ময়নামতিতে প্রাপ্ত তিনখানি তাম্রশাসন ।
২. ঢাকায় প্রাপ্ত একটি তাম্রশাসন ।
৩. সিলেটের পশ্চিভাগে প্রাপ্ত একটি তাম্রশাসন ।
উল্লিখিত তাম্রশাসনসমূহ দ্বারা এ বংশের শাসন সম্বন্ধে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়েছে।
চন্দ্র রাজাদের প্রাপ্ত লিপিসমূহ ও সমসাময়িক অন্যান্য তথ্য থেকে চন্দ্রবংশের রাজাদের তালিকা ও চন্দ্র রাজাদের কাল নির্ণয় করা সম্ভব হয়েছে।
যা থেকে ধারণা করা হয় যে এ বংশের রাজারা আনুমানিক ১১০ থেকে ১১৫ বছরব্যাপী শাসন কার্য পরিচালনা করতে সক্ষম হয়েছিল।
চন্দ্রবংশের ক্ষমতালাভ সম্পর্কে তাদের তাম্রলিপিতে কিছু আভাস পাওয়া যায়। তাম্রশাসনসমূহে এ বংশের প্রথম ভূপতি পূর্ণচন্দ্রকে রোহিতাগিরির ভূ-স্বামী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, শিলালিপি তাম্রশাসন, মুদ্রাগ্রন্থ, নথি প্রভৃতিই হলো অতীত ইতিহাস অনুসন্ধানের প্রথম মাধ্যম।
আর এরই ধারাবাহিকতায় চন্দ্রবংশের উৎকীর্ণ তাম্রশাসনগুলো দ্বারা আমরা এ রাজবংশের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছি।