গোপালের উত্থান সম্পর্কে খালিমপুর তাম্রলিপি আলোচনা কর
গোপালের উত্থান সম্পর্কে খালিমপুর তাম্রলিপি আলোচনা কর |
গোপালের উত্থান সম্পর্কে খালিমপুর তাম্রলিপি আলোচনা কর
- অথবা, গোপালের উত্থান সম্পর্কে খালিমপুর তাম্রলিপির বিবরণ দাও ।
উত্তর : ভূমিকা : ইতিহাস রচনার জন্য দুটি উপাদানের উপর নির্ভর করতে হয়। এ দুটি উপাদান হল লিখিত উপাদান ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলো ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে যথেষ্ট সহযোগিতা করে।
ঠিক তেমনি লিখিত উপাদানগুলো ও যথেষ্ট অবদান রেখেছে। লিখিত উপাদানের মধ্যে পড়ে বিভিন্ন ঐতিহাসিকদের লেখনী, ঐতিহাসিকরা সমসাময়িক যুগের শাসক, শাসন প্রণালি, ভৌগোলিক অবস্থান প্রভৃতি।
আবার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে অনেক মূর্তি লিপিমালা ইত্যাদি। পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল সম্পর্কে খালিমপুর তাম্রলিপিতে একটি বিবরণ রয়েছে।
→ খালিমপুর তাম্রলিপি : প্রাচীন বাংলায় শশাঙ্কের মৃত্যুর পর প্রায় একশ বছর অরাজক অবস্থার মধ্যে কাটে। এই অরাজকতা মধ্য থেকেই পালবংশের প্রতিষ্ঠাতা গোপাল বাংলার রাজারূপে প্রতিষ্ঠিত হন।
ধর্মপালের খালিমপুর তাম্রশাসনে ঘোষণা করা হয়েছে যে, তিনি “মাৎস্যন্যায়” অবস্থানের অবসান ঘটিয়েছিল। গোপালের ক্ষমতা লাভ সম্বন্ধে খালিমপুর তাম্রলিপিতে যে শ্লোকটি আছে তা নিম্নরূপ :
“মাৎস্যন্যায় অপরিতুম প্রকৃতি ও লক্ষণ্যাকরণ গ্রহিত : শ্রী গোপাল ইতি ক্ষিতিশ শিব সাংচূড়ামনি সতৎসুতঃ”অক্ষয় কুমার মৈত্রেয় এর বঙ্গানুবাদ করেছেন,” “দুর্বলের প্রতি সবলের মাৎস্যন্যায় দূর করার অভিপ্রায়ে প্রকৃতি পুঞ্জরাজাকে রাজলক্ষ্মীর কর গ্রহণ করাইয়া নরপাল কুলচূড়ামনি গোপাল নামক সেই প্রসিদ্ধ রাজা হইতে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে প্রকৃতি এর ভূমিকা ছিল। এখানে প্রকৃতি বলতে বুঝায় নেতৃস্থানীয় বা প্রধান কর্মচারী যারা তার অনুগামী ছিলেন।
আর তিনি পালদের মধ্যে মুকুটমনি ছিলেন। পালদের মধ্যে গোপাল রাজা হওয়ায় বিশৃঙ্খলার অবসান করেন।